নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলায় প্রশাসনের স্বঘোষিত কেয়ার ট্রেকার রাকিবুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। অনেক সময় আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজে ভেকু দালালদের সাথে সরাসরি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ পুকুর বৈধ করছেন। আর পুকুর খনন ও রাস্তা নষ্ট করে মাটি বিক্রির লিখিত ও মৌখিক অনুমতি দিয়ে উপজেলায় প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমিতে পুকুর খনন করিয়েছেন তিনি।
উপজেলার বিভিন্ন পুকুর খনন ব্যক্তির কাছে চাঁদা নিয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার পিএস পরিচয় দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেদারসে। দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে একজন গণমাধ্যম কর্মীর হাতে তার চাঁদাবাজির সত্যতা জানতে পারেন। এবিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিলে ওই প্রতারকের কল রেকর্ড সহ নানান অপকর্মের অভিযোগ উঠে এসেছে।
দুর্গাপুর উপজেলার এক পুকুর খননকারী বলেন, রাকিবুল আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেন।টাকা দিতে অস্বীকার গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা কে নিয়ে এসে আমার গাড়ি ভাংচুর করে এবং ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। পরে ব্যাটারি নেওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। সরজমিনে আমি নিজে গিয়ে ৬০ হাজার টাকা রাকিবুলের হাতে দিই । ২/৩ দিনের মধ্যে ব্যাটারি ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ব্যাটারি বা টাকা কোনটাই ফেরত পাইনি।
এই প্রতারক বিভিন্ন জায়গায় নির্বাহী কর্মকর্তার পিএস বলেও পরিচয় দেয়। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গার পুকুর খনন চালছে এরই সুবাদে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে থাকেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার স্বঘোষিত কেয়ার ট্রেকারের কাজ করতেন এই প্রতারক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সে নিজেকে নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি বলেও দাবি করে।
এবিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, একজন গণমাধ্যম কর্মী আমাকে এবিষয়ে অবগত করেন। কেউ যদি, আমার নাম-পরিচয় ব্যবহারসহ প্রতারণা করে থাকলে তা,অবশ্যই তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।