আভা ডেস্কঃ কন্ডিশন ছিল কিছুটা গুমট। তামিম একাদশের বিপক্ষে টস জিতে মাহমুদউল্লাহ একাদশ প্রথম লড়াইয়ে জিতে গিয়েছিলেন। তবে মাঠে নেমে বোলিংয়ের কাজটা শতভাগ করতেই হতো। অধিনায়ককে হতাশ করেননি রুবেল, মিরাজ, বিপ্লবরা। দ্যুতিময় বোলিংয়ে তামিম একাদশকে ১০৩ রানে অলআউট করেছে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
উইকেটে ব্যাটিং বিরুদ্ধ ছিল না। বল ব্যাটে আসছিল সহজে। গতি ছিল। পেসাররা বাউন্স পাচ্ছিলেন। স্পিনাররা টার্ন পাচ্ছিলেন। ব্যাটসম্যানদের কাজ কঠিন না থাকলেও তামিমরা পারেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। তাইতো ১০৩ রানেই শেষ তাদের ইনিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দল মাঠে নেমেছিল দুপুর দেড়টায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তামিম (২)। এরপর জুনিয়র তামিম ও এনামুল আশার আলো দেখালেও বেশিদূর যায়নি তাদের ইনিংস। জুনিয়র তামিম ২৭, বিজয় ২৫ রানে আউট হন। মাঝে আসা-যাওয়ার মিছিলেন ছিলেন মিথুন (০), শাহাদাত হোসেন দিপু (১) ও মোসাদ্দেক হোসেন (৫)। ৬৮ রানেই তামিমের একাদশ হারায় ৬ উইকেট।
পরবর্তীতে লেজের ব্যাটসম্যানরা টেনেটুনে দলের স্কোর নিয়ে যান তিন অঙ্কে। দুই পেসার রুবেল হোসেন ও সুমন খান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। দুই স্পিনার মিরাজ ও বিপ্লব ভাগাভাগি করেন বাকি ৪ উইকেট। ২৩.১ ওভারেই শেষ তামিমদের ইনিংস। ৩ ওভার খেলা চলার পর বৃষ্টির কারণে ১০৪ মিনিট ম্যাচ বন্ধ ছিল। এ কারণে ম্যাচ নেমে এসেছে ৪৭ ওভারে। মাহমুদউল্লাহদের জয়ের জন্য ৪৭ ওভারে করতে হবে ১০৪ রান।
পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারেও পাওয়া যাচ্ছে ধারাভাষ্য।
তামিম একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ মিঠুন, শাহাদাত হোসেন দিপু, মোসাদ্দেক হোসেন, সাইফউদ্দিন, মাহাদি হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি (সুপার সাব)।
মাহমুদউল্লাহ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), নাইম শেখ, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, সুমন খান, রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেন (সুপার-সাব)।