নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে পুলিশ ফাঁড়ির একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাঁকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক তাঁকে প্রত্যাহার করেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত এএসআইয়ের নাম মো. শামীম। ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি বিবাহিত। স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিনি পুলিশের জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছিলেন। এরপর নগরীর বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শামীম তদন্ত করতে আসেন। সেদিন তিনি ওই তরুণীকে পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে পাঠান। সে অনুযায়ী রোববার ওই তরুণী তাঁর মাকে নিয়ে ফাঁড়িতে যান।
এ সময় এএসআই শামীম ওই তরুণীর মাকে রুমের বাইরে যেতে বলেন। ওই তরুণী রুমে একা থাকলে এএসআই শামীম তাঁর শ্লীলতাহানি ঘটান। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাবা বোয়ালিয়া থানায় এএসআই শামীমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু রাতেই আবার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী ওই তরুণীর পরিবার এবং এএসআই শামীমকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। তবে এই মীমাংসা না মেনে ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা আরএমপি কমিশনারের কাছে যান। এরপরই পুলিশ কমিশনার অভিযুক্তকে প্রত্যাহার করেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলন, ‘থানায় অভিযোগ হওয়ার পর ঘটনাটি সম্পর্কে আমি ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নোট দিয়েছিলাম। ওই তরুণীর বাবাও কমিশনার স্যারের সাথে দেখা করেছিলেন। এরপর অভিযুক্ত এএসআইকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন এ অভিযোগের তদন্ত হবে। তারপর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য এএসআই শামীমের দুটি মোবাইল নম্বরে কয়েকদফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।