নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগর ডিবিতে ২২ জুন চাকুরী দেওয়া কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মুলহোতা মহিবুল আলম তীমু আটক হলেও সেই ঘটনার সাথে জড়িত আরেক সহযোগী জিয়াউর রহমান জিয়া এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নগরজুড়ে । প্রতারনার জাল পেতে আছে অন্য শিকার খুজতে । বহু পত্রিকায় এরই মধ্যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে । পুঠিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে পুঠিয়া নন্দগাছি এলাকার মাইনুল, যা তদন্ত করছে পুঠিয়া থানার এএসআই মাসুদ । এরই মধ্যে প্রতারনার শিকার হওয়া ভুক্তভুগিরা পশ্চিম রেলওয়ে জিএম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন । সেই লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখা গুলোতেও । প্রতারক আবার অপ তৎপরতা চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে । এই প্রতারকের সাথেও আছেন অনেকই । এর মধ্যেই সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সাংবাদিককে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা মিথ্যাচার করছে । এ বিষয়ও সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে অভিযোগ দিয়েছে থানায় ।
জিএম পশ্চিম বরাবর দেওয়া ভুক্তভুগিদের লিখিত অভিযোগের বরাতে জানা যায়, চারঘাট এলাকায় মুনসান ও মিলন নামের দুই ব্যাক্তির নিকট থেকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা নিয়েছে প্রতারক জিয়া ও তার সহযোগী হাসিবুল । অভিযোগে উল্লেখ্য আছে, প্রতারক স্ট্যাম্পে লিখিত করেই সেই টাকা নিয়েছে । এছাড়াও সে নিজেকে মন্ত্রীর পিএস পরিচয় দিয়েছিল ।
পুঠিয়া নন্দগাছি এলাকার ভুক্তভুগিরা জানান, এলাকার কয়েকজনের নিকট সে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন । তারা সেই চাঁদা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতে থাকে । এমনব্যস্থায় তারা পুঠিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । যা এখন তদন্ত করছে পুঠিয়া থানা পুলিশ ।
অজ্ঞাত কারণেই আটক হচ্ছেন না এই প্রতারক জিয়া, সে পশ্চিম রেলওয়ে জিএম দপ্তরের বার্তা বাহক হিসাবে কর্মরত আছেন । তার এক রাজনৈতিক খুঁটির জোরে বারংবার পার পেয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র
এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ে দপ্তর প্রধান জিএম মিহির কান্তি গুহ সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভুগিদের অভিযোগ পেয়েছি । আমার অফিসের তাদের অভিযোগ পড়েছে । বিষয়টি তদন্ত করে যথার্থ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
পুঠিয়া থানার ওসি বলেন জিয়া নামের এক রেল কর্মীর অভিযোগ থানায় তদন্তধীন আছে । যা তদন্ত করছে এএসআই মাসুদ । তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
রাজশাহী মহানগর ডিবির এস আই সুভাষ জানায়, আমরা চাকুরীর নামে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া একটি মামলায় তার সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি । বাদি তার নামে মামলা করেছেন তাকে আটককের চেষ্টা করা হচ্ছে । এই মামলায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান এস আই সুভাষ ।