আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তা বন্ধ ও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তদন্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিএনপির চিঠি প্রকাশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিলেন না রুহুল কবির রিজভী। তবে বলেছেন, ‘তথ্যমন্ত্রী মিথ্যা বলেন।’
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে মির্জা ফখরুলের চারটি চিঠি প্রকাশ করার পর দিন বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলটির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সরাসরি কিছু বলতে চাননি।
আগের দিন তথ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে জানান, ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সে সময়ের কংগ্রেসম্যান নিতা লোয়ি ও লিন্ডসে গ্রাহামকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এতে তিনি বাংলাদেশকে দেয়া বৈদেশিক সহায়তা পর্যালোচনার অনুরোধ করেন।
একই সময়ে দুটি চিঠি দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দুই রাজনীতিক মিট রমনি ও জেমন রিসককে। এই দুই চিঠিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়।
তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিএনপি রাষ্ট্রদ্রোহের কাজ করেছে।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিজভী কোনো জবাব না দিয়ে বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী গতকাল বলেছেন, বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করছে। তথ্যমন্ত্রী যেন আওয়ামী লীগের ইভিএম এর ন্যায় ভূমিকা পালন করছে। যে প্রতীকেই বোতাম চাপ দেয়া হোক না কেন, তা যেমন নৌকায় চলে যায়, ঠিক তেমনি সারাদেশে নিজেদের পাহাড়সম অপকর্মের দিকে না তাকিয়ে তা অনর্গল মিথ্যার বেস্যাতি করে যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী।
‘উনি যে কথা বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেন। মিথ্যা ছাড়া উনাদের কিছু নেই।’
বিএনপির ২০ হাজার তো-কর্মীকে হত্যার অভিযোগ
আওয়ামী লীগের শাসনামলে এই পরিমাণ নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগও আনেন রিজভী। দাবি করেন, এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার মানুষ গুমের শিকার।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে যুবদল আগামী শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ করবে বলেও জানান রিজভী।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রান্ধনীবাড়ী এলাকায় বুধবার রাত পৌনে আটটায় যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
রিজভীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খুন করেছেন আকবর আলীকে। এই হত্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে।
বিএনপির নেতা বলেন, ‘বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জীবন কেড়ে নেয়াই যেন এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি।
‘ক্ষমতাসীনদের বিশ্বাসের একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখা। আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই গুম-খুনের ওপর নির্ভরশীল একটি দল। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তার তাদের জন্য অপরিহার্য।’