নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীতে বুলবুলের পথসভায় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টুকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম জানান, মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর হাকিম জাহিদুল ইসলাম রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
রাজশাহী সিটি নির্নাবচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সাগরপাড়া মোড়ে পথসভায় গত ১৭ জুলাই হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আহত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্তত তিনজন। এরপর শনিবার রাতে মন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্টুর আইনজীবী মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেপ্তারের পর মন্টুকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। মহানগর হাকিমের ৩ নম্বর আদালতের বিচারক জাহিদুল ইসলাম পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
১৭ জুলাই ওই পথসভার আয়োজন করে জেলা ছাত্রদল। কর্মসূচি চলাকালে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন যুবক পথসভার পাশে পরপর তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন বোয়ালিয়া থানার এসআই শামীম হোসেন অজ্ঞাতপরিচয় আটজনের নামে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
রাজশাহীর পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনের পরিবেশকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ করতে’ বিএনপি নেতারা ‘নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে’ ওই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। ওই হামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর সঙ্গে ‘ফোনালাপের একটি অডিও হাতে পাওয়ার পর’ মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার এসএম হাফিজ আক্তার রোববার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের শোনান।
হাফিজ বলেন, “ওই অডিও রেকর্ডে মন্টু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলামের সঙ্গে ককটেল হামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন নিজেদের ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেন।
“সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত বা প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে জনগণের সমমর্মিতা অর্জন করতে এবং জনগণকে নিজেদের দিকে টানতে নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে ওই ককটেল বিস্ফোরণটি ঘটান তারা।”