জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে রোহিংগা সমস্যার কথা তোলার কথা।

আভা ডেস্ক: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেসের ঢাকা সফরের সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সৃজনশীল সমাধান এবং বাংলাদেশকে তার অসুবিধা থেকে দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানাবে সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেস এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ১ জুলাই রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখতে বাংলাদেশ সফর করবেন। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি একদিন আগে আসবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গুটেরেস ২০০৮ সালে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসাবে কক্সবাজার সফর করেছেন এবং তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার আদ্যপান্ত জানেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (জাতিসংঘ মহাসচিবকে) জানাবো, মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ যা করেছে তার জন্য যেন আমাদের শাস্তি দেওয়া না হয়।’

তিনি আরও জানান, ইউরোপের অনেক দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ শরণার্থীদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশ মানবতার খাতিরে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিল যাতে করে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয় পায়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং এদের জন্য যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে সেটি কোনও উপকারে আসছে না।

তিনি বলেন, ‘আমরা সহায়তা চাই না বরং আমরা এর রাজনৈতিক সমাধান চাই যাতে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে পারে এবং এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সৃজনশীল সমাধান বের করতে হবে।’ রোহিঙ্গারা দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিতে হবে বলেও জানান তিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে- রোহিঙ্গারা নিরাপদে আছে এবং এটি অনাদিকাল চলবে, তবে তারা বাংলাদেশের প্রতি অবিচার করবে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হয় এবং অপরাধীদের দায়বদ্ধতা না থাকে, তবে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।’

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলির সঙ্গে তিনি কক্সবাজার যাবেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মহাসচিব এবার মিয়ানমার সফর করবেন না এবং আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তিনি মিয়ানমারকে একটি নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছেন।’

বাংলা ট্রিউব্রুন

Next Post

প্রধানমন্ত্রী হয়েও ছেলের পড়ার টাকা দিতে পারিনি।

বৃহস্পতি জুন ২৮ , ২০১৮
আভা ডেস্ক: নিজে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেও বিদেশে অধ্যয়নরত ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হয়েও সন্তানের পড়ার খরচ দিতে পারিনি। আমি প্রধানমন্ত্রী, আমার দ্বিধা হলো- কাকে বলবো টাকা দিতে বা কীভাবে আমি টাকা পাঠাবো বুঝতে পারিনি। কার কাছে দেনা করবো। […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links