চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী- বানিজ্যমন্ত্রী

আভা ডেস্কঃ চীনকে বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগি। চীন বাংলাদেশের বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্প, ঢাকায় মেট্রো রেল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু কর্নফুলী টানেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

বুধবার (৯ জুন) ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক এন্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অফ দি কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই মন্তব্য করেন।

ইকোনমিক রিপোর্টারস ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘চায়না ৯৭ ভাগ পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশকে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে তা কার্যকর হয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমানোর প্রচেষ্টা চলছে।’

দেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি সেক্টরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’

বিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তোজার এতে সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, চীন নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান এবং এফবিসিসিআই মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. এম এ রাজ্জাক অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভী স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন।

মূল প্রবন্ধে ড. এম এ রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যে অগ্রযাত্রা রয়েছে তা ধরে রাখতে করোনার এই সময়ে চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা দরকার। কেননা বর্তমানে চায়না বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের যে প্রযুক্তিগত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে তার সুবিধা যাতে বাংলাদেশ নিতে পারে। পাশাপাশি চায়না থেকে আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে।’

এছাড়া তিনি করোনার এই সময়ে এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তীতে চীনের দেওয়া শুল্ক সুবিধাগুলো কীভাবে অব্যাহত রাখা যায় এজন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রয়োজনে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পরামর্শ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অর্থনীবিদ, গবেষক-বিশ্লেষক ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

Next Post

করোনায় বাহরাইন প্রবাসী ৭০ জন বাংলাদেশীর মৃত্যু

বুধ জুন ৯ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাহরাইনে এ পর্যন্ত ৭০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন।  এর মধ্যে গত মে মাসেই ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৯ জুন) বাহরাইনের মানামায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মানামার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, বাহরাইনে প্রতিদিন হাজার হাজার নাগরিক […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links