নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক কিশোরীকে প্রতারণা করে আসছিল ইব্রাহীম নামে এক যুবক । এমনকি সেই প্রতারকের কাছে জিম্মি হয়ে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিতে যায় সেই কিশোরী । আত্নহত্যার আগে পুলিশ সুপারকে ম্যাসেজ করে ঘটনা জানালে পুলিশ সুপার তাকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস্থ করেন ।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অরুনবাড়ি এলাকার মাসুদ রানার ছেলে ইব্রাহিম (২৬) কে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ । আটকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্র্যাফি আইনে মামলা হয়েছে । তাকে ২৮ মে বৃহঃপতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে ।
ঘটনার বরাতে জানা যায়, চার বছর পূর্বে গ্রামের একটি স্কুল পড়ুয়া মেয়ে প্রয়োজনে স্টুডিওতে যেয়ে নিজের ছবি তোলে।স্টুডিও মালিক সেই ছবির এক কপি তার এক বন্ধুকে দেয়। প্রতারক আসামী ইব্রাহীম (২৬) সেই ছবি দিয়ে ফেসবুক আইডি খুলে মেয়েটির সাথে প্রতারনা শুরু করে। চলে প্রেম ও অনৈতিক সম্পর্ক। আসামী অনৈতিক সম্পর্কের অনেক ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে নিজের মোবাইলে। চলে চার বছর যাবৎ অনৈতিক সম্পর্ক। এর মধ্যে ভিকটিম জানতে পারে আসামী বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। সে দূরে আসার চেষ্টা করলেই ছবি ও ভিডিও এর কারনে আসতে পারে না। মেয়েটি একমাস আগে এক ছেলেকে সব জানিয়ে পারিবারিক ভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার সুখেই চলছিল। হঠাৎ ঈদের দুদিন আগে আসামী ভিকটিমের নামে পুনরায় ফেসবুক আইডি খুলে তার নববিবাহিত স্বামীর আইডিতে অনৈতিক ছবি ও ভিডিও গুলি পাঠাতে থাকে। ভিকটিম কোন উপায় না পেয়ে পুলিশ সুপার জনাব এএইচএম আবদুর রকিব, বিপিএম পিপিএম (বার) এর অফিসিয়াল আইডিতে ম্যাসেস করে জানায় এবং বলে স্যার আমাকে বাচান। আত্মহনন ছাড়া কোন উপায় নাই। পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্হা নেন।ভিকটিম বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্র্যাফি আইনে এজাহার দায়ের করে। আসামী ইব্রাহিমকে ২৮ মে ভোর ০৪ঃ০০ ঘটিকায় আটক করে জেলা গোয়েন্দা শাখা। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল জব্দ করে। আসামীকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়।