চট্টগ্রাম জেলার প্রায় বস্তি, হোটেল থেকে শুরু করে নগরির প্রায় অভিজাত এলাকায় চলছে রমরমা দেহব্যবসা, তেমনি এক বস্তি টোল প্লাজার পাশেই দিনে রাতে চলে দেহ ব্যবসা
পোর্ট এক্সেস রোডের টোল প্লাজার পাশেই গড়ে উঠেছে কিছু বস্তি। অন্যান্য বস্তিগুলোর মত এখানে কোনো পরিবার থাকে না। বস্তির ঘরগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে দেহ ব্যবসা। ২০০৯ সাল থেকে গড়ে ওঠা পতিতালয়টি প্রথমে ভ্রাম্যমাণ থাকলেও পরে আস্তে আস্তে বস্তি আকারে গড়ে ওঠে। ঘরগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের আনাগোনা। তবে যার অধিকাংশই হচ্ছে গাড়ির ড্রাইভার ও হেলপার। সবমিলে ১০ থেকে ১৫ টি ঘর রয়েছে এখানে, প্রতিটি ঘরেই রয়েছে ৫ থেকে ৬ টি কক্ষ। বিকেল পর্যন্ত এই পতিতালয়ের নারীরা রুমে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই রুম থেকে বের হয়ে প্রকাশ্যে রাস্তায় বসে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় রফিক, শফি, ভোলার মহিউদ্দীন, সাদ্দাম, রুবেল প্রকাশে ইয়াবা রুবেল, নয়ন এবং পতিতালয়ের সর্দার মিনারা বেগমসহ এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এ পতিতালয় চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকার এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিনিধি বলেন, আমাদের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে টোল প্লাজার পাশেই একটি পতিতালয় গড়ে উঠেছে। এখানে একটা ডিপু রয়েছে যেখানে বন্দরের গাড়িগুলো পার্কিং করে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ড্রাইভার এবং তাদের সহকারীরা এখানে আসে। এর জন্য আমাদের যুব সমাজও হুমকির মুখে। পতিতালয়ের পাশেই রয়েছে জরিনা মফজল সিটি কর্পোরেশন কলেজ। যার কারণে এটি আরো বেশি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার সর্বস্তরের মানুষ এই পতিতালয় থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছে।
স্থানীয়দের সাহায্যে প্রশাসন কয়েকবার অভিযানও চালিয়েছে এখানে। এসবের সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা এলাকার সচেতন মানুষদের নিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিহত করার জন্য নতুন কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এলাকার মানুষেরও দাবি হচ্ছে যে কোনো মূল্যে যেন এই পতিতালয় এখান থেকে অপসারণ করা হয়। এই
বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি বলেন, আমরা এই পতিতালয়ে আগেও বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি এবং এ কাজের সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটকও করেছি। কিন্তু কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর তারা আবার এটি চালু করে। পতিতালয়টি গাড়ির স্টেশনের পাশে হওয়ায় মোটরযানের শ্রমিকেরা এখানে বেশি আসা যাওয়া করে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েকবার অভিযান চালানোর পরও এটি বন্ধ না হওয়ায় আমরা রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। তারা সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখ পতিতালয়টি উচ্ছেদ করবে বলে জানায়। উচ্ছেদ অভিযানে আমরাও তাদের সাথে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো বলে জানিয়েছি।
সাপ্তাহিক দুর্নীতি দমন