জাহাঙ্গীর আলম গাংনীঃ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটাপাড়া ডিসি ইকো পার্কে ছাত্রলীগের সাথে পার্কের কমিটির লোকজনের সাথে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো, গাংনী কাচাবাজার পাড়ার কামাল হোসেন এর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মি হিরক,বাগান পাড়ার লাভলু সেলুন মালিকের ছেলে রাজু, উত্তর পাড়ার ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে রিপন, মহিলা কলেজ পাড়ার আঃ কাদের এর ছেলে স্বাধীন, হিজরবাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ছেলে ডালিম অপরদিকে পার্ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে আহতরা হলো সাহারবাটি গ্রামের আজাহার বিশ্বাসের ছেলে টোকন, আঃ ওহাবের ছেলে রবিউল ইসলাম ও বানাত আলির ছেলে নুরু।
শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে ভ্যান পার্কিং নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেদের সাথে পার্ক কমিটির লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ছাত্রলীগের কিছু ছেলে গিয়ে কমিটির লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে এধরনের অভিযোগ করেন পার্ক কমিটির সদস্য নওপাড়া গ্রামের মুকুল হোসেন।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা মিল্টন জানান, ডালিম, স্বাধীন সহ আমরা বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাহিদ হোসেন ভাই এর অসুস্থতার কথা শুনে দেখতে তার বাড়িতে যায়। আমরা বাড়িতে আছি এমন খবর পেয়ে সাহারবাটি গ্রামের রবিউল,নুরু ও মাসুমের লোকজন নাহিদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে গাংনী থানা পুলিশ নাহিদ এর বাড়িতে উপস্থিৎ হয়ে আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে। একথা শুনে বাড়ি ফেরার সময় সাহারবাটি চারচারার মোড়ে স্বাধীন ও ডালিমকে অতর্কিত হামলা করে। পরে ছাত্রলীগের নেতা ইমরান হাবিব ভাইকে সাথে নিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
পার্ক কমিটির আহত টোকন, নুরু ও রবিউল মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান মুকুল হোসেন।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পৌর ছাত্রলীগের সাধার সম্পাদক ইমরান হাবিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ বাজার থেকে গাংনী মেইন বাজারের শহীদ রেজাউল চত্বরে সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে আবারো মিছিলটি উপজেলা বাজারে শেষ হয়।
এদিকে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন আমি চিকিৎসা জনিত কারণে সারাদিন কুষ্টিয়াতে অবস্থান করছিলা