আভা ডেস্কঃ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সহায়তার এ অর্থ ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধা ব্যবহার করে নগদ, বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি সুফলভোগীদের দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিচাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারিতে প্রতিকূল পরিবেশে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পরিকল্পিত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করছে সরকার।
২০২১ সালে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালনের প্রাক্কালে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা জানেন, কোভিড-১৯ এর প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাতকরণ, উপকরণ সরবরাহ, মৎস্য খাদ্য ও পোনার অপ্রাপ্য এবং উচ্চ মূল্যের কারণে মাছচাষিসহ এই সেক্টরের খামাররিরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সময়মতো মাছ ও প্রাণিজ পণ্য বিক্রি করতে না পারায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে এবং পুঁজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ বিবেচনায়, কোভিড-১৯ এর প্রভাব কমিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের কার্যক্রম সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় তাৎক্ষণিক নগদ সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এম এ মান্নান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের জনগোষ্ঠীর শুধু পুষ্টি চাহিদা পূরণই নয়, ব্যাপক কর্মসংস্থান ও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও অন্যতম লক্ষ্য।