উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সম্পাদক হাবীব জুয়েলকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উত্তরবঙ্গ উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম.এ. হাবিব জুয়েলকে কে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকিদাতা ওই ব্যক্তির নাম আসাদ আনসারী। আসাদ আনসারী বর্তমানে নাটোর ও তানোর উপজেলা পরিষদের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছেন।
মূলত ঠিকাদারী কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকায় এসব তথ্য অনুসন্ধানের কারণে এম এ হাবিব জুয়েলকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, তানোর উপজেলা পরিষদের ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায় আসাদ আনসারী। কিন্তু ইন্টেরিয়রের কাজ চলাকালীন রং মিস্ত্রিদেরকে টাকা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে রং মিস্ত্রিদের ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম আনোয়ার টাকা চাইতে গেলে ঠিকাদার আশিক আনসারী মোবাইল ফোনে তিন দফা আমিরুল ইসলাম আনোয়ার কে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম আনোয়ার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি তারিখে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রংমিস্ত্রিদের ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম আনোয়ার ২৯ শে নভেম্বর আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সার্বিক বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এক পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় লালিত এই ঠিকাদার আসাদ আনসারী উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক এম এ হাবিব জুয়েলকে হত্যার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ব্যক্তি মারফত এম.এ.হাবিব জুয়েলের পরিবারকে এই অনুসন্ধান থেকে সরে আসার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি মারফর হুমকি দেয় আসাদ আনসারি।
এসময় বিভিন্ন লোক মারফত ঠিকাদার আসাদ আনসারী এও জানায় অনুসন্ধান থেকে এমএ হাবিব জুয়েল যদি সরে না আসেন তবে তাকে যে কোন মুহূর্তে তার কিছু হয়ে গেলে দ্বায়ভার আমাদের নয়।
সার্বিক বিষয়ের উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক এম.এ. হাবিব জুয়েল জানান – আপনারা অনুসন্ধান করেন ৪০ লক্ষ টাকা কাজ ২০ লাখ টাকায় সম্পাদন করেছেন ঠিকাদার আসাদ আনসারি। রং মিস্ত্রিদের ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম আনোয়ারকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করলে সে আমার শরণাপন্ন হয় এবং সার্বিক বিষয়ে জানায়।
আমি রংমিস্ত্রিদের ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম আনোয়ার কে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এবং হত্যার হুমকির জন্য কাশিয়াডাঙ্গা থানা বরাবর অভিযোগ দায়েরের জন্য বলি। পরবর্তীতে সার্বিক বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করি। এই সময় বেলাল হোসেন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে ১লা ডিসেম্বর ২০২৩ সালে রাত ৮ টার দিকে ঠিকাদার আসাদ আনসারী তার ভুল স্বীকার করে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় রংমিস্ত্রিদের ঠিকাদার আমিনুল ইসলামের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং পূর্ণাঙ্গ হিসাব বাদ দিয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মীমাংসা সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তারপরেও ঠিকাদার আসাদ আনসারী বিভিন্ন লোক মারফত উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের সম্পাদক এম.এ. হাবিব জুয়েলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন।
তবে ঠিকাদার আসাদ আনসারীর বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় আসাদ আনসারী জামালপুর,মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। বর্তমানে নাটোর ও তানোর উপজেলায় কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা ও থানা পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে লেবার মিস্ত্রি ও দিন শ্রমিকদের ঢাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়। এছাড়াও অনুসন্ধানে আরও জানা যায় বর্তমান ক্ষমতাসীল আওয়ামী লীগের কিছু পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতা তাকে বিভিন্নভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় ও সেবা দিয়ে আসছেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, কাছেই রাজশাহী মহানগরীর একজন রাজনৈতিক নেতা তার নাকি গডফাদার। যেকোনো গন্ডগোল হামলা মামলা সামাল দেন ঐ গডফাদার।
এম.এ.হাবিব জুয়েল আরোও জানান – ঠিকাদার আসাদ আনসারীর যে সকল কাজ চলমান রয়েছে আমরা গনপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন জানাবো যেন দূর্নীতিবাজ ঠিকাদার আসাদ আনসারীর সেসকল কাজ গুলোর পুনরায় জাজমেন্ট হয়।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের প্রধান সম্পাদক এম.এ.হাবিব জুয়েল রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছে।
হুমকি’র বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিয়ে ঠিকদার আসাদ আনসারীকে পাওয়া যায়নি। একারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Next Post

নন্দীগ্রামে মন মাতানো হলুদের সমারোহে সরিষা ক্ষেত

রবি ডিসে. ৩ , ২০২৩
নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জল: প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ মহিমায়। সরিষার হলুদ ফুলের এই সমারোহ নয়ন জুড়িয়ে দেয়। যেদিকে দু’চোখ যায়, শুধু হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য মনকে আবেগে আপ্লুত করে তোলে। চারদিকের সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি। বাজারে তেলের দাম বেশি হওয়ায় এবার সরিষার […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links