আরেকটিবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিন, নৌকায় ভোট দিন, প্রধানমন্ত্রী।

আভা ডেস্কঃ আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে আমরা যে সম্মান লাভ করেছি, সেটা ধরে রাখতে আরেকটিবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিন, নৌকায় ভোট দিন।

আজ শনিবার বিকেলে বরগুনার তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে ওই এলাকার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই উন্নয়ন করে। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবার সুযোগ দিয়েছেন। এজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জনগণের প্রতি। নৌকা মানেই উন্নয়ন। এই নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ কখনো ঠকেনি। যখনই ভোট দিয়েছে উন্নয়ন হয়েছে। নৌকার ফলেই সমগ্র বাংলাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

দক্ষিণবঙ্গ একসময় উপেক্ষিত থাকলেও এখন এখানেও উন্নয়নের হাওয়া লেগেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন, আমি একসময় স্পিডবোটে চড়ে তালতলীতে আসতাম, তখন এটা ইউনিয়ন ছিল। এখন তালতলী উপজেলায় পরিণত হয়েছে। এখানেও উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আজ অনেকগুলো প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছি। এগুলো বরগুনার মানুষের জন্য আমাদের সরকারের উপহার।

প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার সরকারের নানা প্রকল্প ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। দেশের মানুষ সুখী-সমৃদ্ধিশালী জীবন যাপন করবে। সারাবিশ্বে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সম্মান লাভ করেছি। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে আরেকটিবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিন, নৌকায় ভোট দিন।

এসময় তিনি জনসভায় উপস্থিত জনতার কাছে ওয়াদা চেয়ে বলেন, আপনারা ওয়াদা করুন, যাকেই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় পাঠাবো, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগকে দেশের সেবা করার সুযোগ দেবেন।

তখন উপস্থিত জনতা আওয়ামী লীগ সভাপতির সামনে হাত তুলে ওয়াদা করেন। জবাবে শেখ হাসিনা জনতাকে ধন্যবাদ জানান।

নাগরিক সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম পর্যন্ত

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে তার সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরে বলেন, এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। এই সুযোগ কে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ দিয়েছে। ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি, দেশজুড়ে ইন্টারনেট সার্ভিস আছে। এর মাধ্যমে ২০০ প্রকারের সেবা পাচ্ছে মানুষ। তালতলীর মতো দুর্গম এলাকায়ও মানুষ যোগাযোগ করতে পারে অনলাইনের মাধ্যমে। এটাকে আরও উন্নত করার জন্য মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এর মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম খবরসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়া সম্ভব হবে।

তিনি জ্বালানি ও কৃষিখাতের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্পগুলোর কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু রাজধানীর মানুষ সুযোগ পাবে তা নয়, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত সবাই যেন নাগরিক সুবিধা পায় সেজন্য কাজ করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেন আয় করতে পারে, সেজন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিংয়ের ট্রেনিং দিচ্ছি। এখন ঘরে বসেই বিদেশে কাজ করতে পারে। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি। বিনা জামানতে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছে।

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়ে তাদের শিক্ষার মূলধারায় আনার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হবে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। এরইমধ্যে জঙ্গি দমন করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। তরুণদের স্বাভাবিক বিকাশে প্রত্যেক উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দেবো। তারুণ্য যেন মাদকাসক্ত না হয়, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়, সেজন্য অভিভাবক ও শিক্ষকরা আছেন, নিজেদের ছেলে-মেয়েদের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে শিক্ষকরা খোঁজ নেবেন। ইসলামে জঙ্গিবাদের স্থান নেই। কিছু লোকের জন্য এই ধর্মের বদনাম হবে, তা আমরা হতে দেবো না।

বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছি
দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দক্ষিণাঞ্চলেও জাহাজ শিল্প গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখানে যারা বিনিয়োগ করতে চান তাদের আমরা উৎসাহ দেবো। আওয়ামী লীগই এই অঞ্চলের উন্নয়ন করেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আমরা জাতির পিতার আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো, ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে তারও পরিকল্পনা আমরা করেছি। নতুন প্রজন্মের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি।

এতিমের টাকা মেরে মা জেলে, অপকর্ম করে সাজাপ্রাপ্ত ছেলে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো। আমি বেঁচে গেলেও আমরা হারাই আইভী রহমানসহ অনেক নেতাকর্মীকে। বিএনপি দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। তারা দেশকে বারবার পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। এতিমখানার টাকা মেরে দিয়েছে। এই টাকা চুরির দায়ে খালেদা জিয়া জেলে গেছেন। মানিলন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে, নানা অপকর্মের কারণে তার ছেলে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। এরা যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।যুগান্তর

Next Post

মায়ানমারের লোকতো ইয়াবা খায় না, তাহলে আমরা কেন খাই ? র‍্যাব প্রধান বেনজির।

রবি অক্টো. ২৮ , ২০১৮
আভা ডেস্কঃ র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, একসময় ভারত থেকে ফেনসিডিল আসতো, সে দেশে ফেনসিডিলের কারখানা হলেও সেখানকার যুবসমাজ তা খায় না। এখন মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু যেসব রোহিঙ্গা এ দেশে ইয়াবা পাচার করে, তাদের তাড়ায়নি। মিয়ানমারের লোকতো ইয়াবা খায় না, আমরা কেন খাই? […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links