নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে। গেল অর্থবছরের একই সময়ের আয়ের চেয়ে এবার ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ছাড়িয়ে মোট আয়ের পরিমাণ হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। গেল অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে আয় ছিল ৩৮২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এবার ৩৯৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে ১১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা আয় হয়েছে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে। আর ১১৯ কোটি ২ লাখ টাকা আয় হয়েছে পণ্য পরিবহন থেকে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ঢাকা ও ভারতের কলকাতাসহ কিছু আন্তঃদেশীয় রুট, ৫০টি ইন্টারসিটিসহ ১৫৯টি ট্রেন এই জোনে চলাচল করে। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ এই জোনের অধীন। ৪৬টি লোকাল অথবা শাটল এবং ৬৩টি কমিউটার অথবা মেইল ট্রেন বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। কয়েক বছরে বিভিন্ন রুটে আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তাই রেলওয়ের আয়ও বাড়ছে।
শাহ নেওয়াজ বলেন, যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে আধুনিক কম্পিউটারাইড আসন সংরক্ষণ ও টিকেটিং ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। বন্ধ স্টেশনগুলো দ্রুত চালু করা হলে আয় আরও দ্রুত বাড়বে।
পশ্চিম রেলের অতিরিক্ত চিফ অপারেটিং সুপারেনডেন্ট আহসান উল্লা ভুইয়া বলেন, মোট ২৩৮টি স্টেশনের মধ্যে ৭৬টি স্টেশন বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। ৫৫৯টি স্টেশন মাস্টারের পদের মধ্যে ২৪৯টি পদ শূন্য রয়েছে। এসব সংকট দূর হলে রেলের সেবার মান আরও বাড়বে। বাড়বে আয়।
রাজশাহী রেল স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ সকল কর্মচারীদের যৌথ অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির পাশা পাশি রেলের আয় বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।