নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অতিরিক্ত ভাড়ায় দেয়া হয়েছে স্ট্যান্ডিং টিকেট। সেই টিকেট কাটার পরেও পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা যেতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে স্টেশনের প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা স্টেশনের বেশকিছু কক্ষ ভাঙচুরের চেষ্টা করে; স্টেশনে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের নির্ধারিত আসন এর চাইতে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ফলে অনেকে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনর টিকেট করলেও ট্রেনে উঠতেই পারেনি।
স্টেশনে যাত্রীদের ভাংচুর,টিসি অফিস ঘেরাও করে রেখেছে যাত্রীরা।স্টেশনের বুথ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার অতিরিক্ত যাত্রী ইন্টারনেটে টিকিট কাটেন।এছাড়া টিসিরা সিটবিহীন অতিরিক্ত টিকিট দেন । ফলে ট্রেনের টিকিট নিয়ে যাত্রীরা উঠতে পারেননি।
বিকেল চারটায় পদ্মা ট্রেনের টিকিট কেটেও যেতে না পারা যাত্রীরা পরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা স্টেশন ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালান।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশ্চিম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
পরে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা পদ্মা ট্রেনের টিকিটেই পরবর্তীতে ট্রেনে যেতে পারবে যাত্রীরা।
এছাড়া খুলনা থেকে ঢাকা গামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬টি আসনের একটি নির্দিষ্ট কোচ লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী গামী কমিউটার ট্রেনে গিয়ে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তারা ঐ কোচে ঢাকা যেতে পারবেন।