আভা ডেস্কঃ আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী নায়লা নাঈম। পশুপ্রেমী হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে তার। বিভিন্ন সময় অভুক্ত কুকুর-বিড়ালদের খাওয়াতে দেখা গিয়েছে তাকে। পাশাপাশি এসব পশুর জন্য বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকারও হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন নায়লা নাঈম।
নায়লা নাঈম বলেন—আমার মানসিক অবস্থা খুব খারাপ। একজন প্রাণীপ্রেমী হয়ে আর মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে চাই না! আহত প্রাণীগুলোর চিকিৎসা করে নিজ খরচে ওদের একটা থাকার ব্যবস্থা করতে চেয়েছি। আর সেটা যদি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয় তাহলে অবশ্যই পুলিশের ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত! বাড্ডা জোনের এসি যদি বিড়ালগুলো পর্যবেক্ষণ করতে চান তবে গণমাধ্যমকর্মী, প্রাণী কল্যাণ কাজে যারা নিয়োজিত তাদের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, তাতে আমার আপত্তি নেই!
নায়লা নাঈমের ৫০০ বিড়াল রয়েছে। আর এসব বিড়ালের দুর্গন্ধে নাকাল প্রতিবেশীরা! এমন অভিযোগের জবাবে নায়লা নাঈম বলেন—আমার বিড়ালের সংখ্যা নিয়ে যে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে সেটা কিসের ভিত্তিতে চালানো হচ্ছে তার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ৫০০ বিড়াল থাকলে তো গিনেস বুকে আমার নাম থাকতো। এগুলো মিথ্যা। প্রাণীদের ভালোবাসি বলে নিজের খরচে বিড়াল পোষি এবং সেগুলোর চিকিৎসা করাচ্ছি।
বিড়ালগুলো স্থানান্তর করার বিষয়ে নায়লা নাঈম বলেন—বিড়ালগুলোকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো রাখার জন্য ২-৩ মাসের মধ্যে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা আগেই করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই আমার প্রতিবেশীরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করতে শুরু করেন। তাদের কোনো অনিয়ম নিয়ে কথা বললে বিড়াল সরানোর কথা বলেন। আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তারা। এখন বিড়াল স্থানান্তর করছি, কিন্তু কারো চাপে পড়ে নয়। পুরোটাই নিজের ইচ্ছায় এবং সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে। তবে বিড়ালগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন।