আভা ডেস্ক: দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। ঈদের পরে ‘সুসংবাদ’ দেওয়ার ঘোষণা সংক্রান্ত এই স্ট্যাটাসটি নিয়ে এখন গণমাধ্যমে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিকমহলসহ এলাকার সাধারণ মানুষ কৌতূহলী হয়ে আছেন সোহেল তাজ কী ঘোষণা দেবেন তা দেখার জন্য।
সোহেল তাজের এ ঘোষণার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। তবে তিনি রাজনীতিতে ফিরবেন এমন কিছু কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।
গত ৩১ মে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ফেসবুক পেজে নিজের একটি ছবি দিয়ে লিখেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরে ভাবছি আমার জন্মভূমি, মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু কী করা যায় এবং বিশেষ করে যুব সমাজের জন্য পজিটিভ কিছু করা যায় কিনা। অনেক চিন্তাভাবনা করে একটা সমাধান পেয়েছি—ঈদের পর জানাবো !!’ তিনি আরও লেখেন, ‘অনেকেই কমেন্ট করছেন যে আমার দেশে আসা উচিত- আমি বেশিরভাগ সময়ই দেশে থাকি।’
এ স্ট্যাটাসের ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সোহেল তাজ তাজউদ্দিন আহমেদ এবং জোহরা তাজউদ্দিন ফাউন্ডেশন নিয়ে কাজ করছেন। আমার জানামতে, সেই ফাউন্ডেশনের একটি প্রজেক্ট নিয়ে তিনি ভাবছেন। রাজনীতির বাইরে থেকেও দেশের যুবকদের নিয়ে তিনি কাজ করতে চান। তিনি এর আগেও বলেছেন, রাজনীতির বাইরে থেকে আমি কাপাসিয়াবাসীর জন্য কাজ করবো, তাদের সেবা করবো। আমার জানামতে, ওই কাজেরই কোনও একটা প্রকল্প তিনি হাতে নিয়েছেন। রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকেও কাজ করা সম্ভব, সেটা তিনি প্রমাণ করবেন।’
কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রধান বলেন, ‘উনার (সোহেল তাজ) সবসময় পজেটিভ চিন্তা-ভাবনা। যুব সমাজের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার ভাবনা। তিনি সবসময় বলেন, রাজনীতি করতে হবে, মানুষের কল্যাণ করতে হবে। রাজনীতি মানে টাকা কামাই করা নয় –এরকম কথা তিনি প্রায় সময়ই আমাদের বলেন। আমার জানামতে, তিনি তার বড় বোন কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি আপার পাশে থেকে কাপাসিয়াবাসীর জন্য কাজ করবেন।’.
কাপাসিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবু উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘স্ট্যাটাসের আগে তিনি আমাদের বলেছিলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বসবেন। কিন্তু সেখানে কী বলবেন তা তিনি বলেননি।’
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আইনুদ্দীন বলেন, ‘সোহেল তাজের ফেসবুক স্ট্যাটাস আমি পড়িনি। আমি সেকেলে মানুষ, ফেসবুক ব্যবহার করি না। তবে সোহেল তাজ বিগত দিনে যা করেছেন, ভাল করেছেন। তার প্রতি আমাদের কাপাসিয়াবাসীর আস্থা রয়েছে। সোহেল তাজ বা জোহরা তাজউদ্দিন কখনও বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের লোকজনকে বাদ দিয়ে কিছু করেননি। নিশ্চয়ই সোহেল তাজ যুব সমাজের জন্য যা করবেন, ভাল কিছু করবেন, বিশেষ কোনও চমক দেবেন।’
কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গতাজ তাজউদ্দিনের পরিবারের লোকজনের জুড়ি মেলা ভার। এ পরিবারের সদস্যদের কোনও কিছুর প্রতি কোনও লোভ-লালসা নেই। তাদের জন্য কাপাসিয়াবাসী গর্বিত। আমার ধারণা, তিনি যুব সমাজের জন্য কিছু করবেন। তবে আমি মনে করি, তিনি যা করবেন তা শুধু কাপাসিয়াবাসীর জন্য নয়, গোটা দেশবাসীর জন্য একটা বিশেষ চমক হবে।’
কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রওশন আরা সরকার বলেন, ‘সোহেল তাজের ফেসবুক স্ট্যাটাস আমি পড়েছি। বেশ কিছুদিন আগে সোহেল তাজ কাপাসিয়া এসেছিলেন। তখন তিনি তার বড় বোন সংসদ সদস্য রিমি আপার জন্য মানুষের কাছে ভোট চাইবেন বলেছিলেন। এ ছাড়া, তিনি আর কিছু বলেননি। তিনি তো আসলে পরিকল্পনার কথা সেভাবে বলেন না, করে দেখান।’
বাংলা ট্রিবিউন