আসোনসোলের মসজিদ ইমাম

আভা ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে ছেলে— স্কুল থেকে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ আসানসোলের নুরানি মসজিদের ইমাম ইমদাদুল্লা রশিদির কাছে ফোন আসে।

তখন তিনি বলেন, এ ফল জানতে পারলে ছেলেটা খুশিই হতো। ও তো ডাক্তার হতে চাইত!

এর পর সন্তানহারা এ বাবার ঘোষণা, অভাব-অনটনের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে খবর পেলে তিনি সাধ্যমতো সাহায্য করবেন।

অণ্ডালের ইকবাল অ্যাকাডেমি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পড়ত ইমাম রশিদির ১৬ বছর বয়সী ছেলে মহম্মদ সিবগাহতুল্লা।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

সে এ বছর সেখান থেকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। মাস দুয়েক আগে সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তেতে ওঠে আসানসোলের রেলপাড় এলাকা। সে সময় নিখোঁজ হয়ে যায় সিবগাহতুল্লা। পরে উদ্ধার হয় তার মরদেহ।

ওই ঘটনার পর ইমাম কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাননি। বরং ছেলের জানাজায় হাজির লোকজনকে বলেন, এ মৃত্যুর প্রত্যাঘাতে কোনো সংঘাত হলে তিনি আসানসোল ছেড়ে চলে যাবেন। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে এমন বার্তা এলাকায় তাকে শান্তির মুখ করে তুলেছিল।

সম্প্রতি রাজ্যসরকার বঙ্গো সম্মানের জন্যও তার নাম বিবেচনা করেছিল। কিন্তু রমজানে মসজিদ ছেড়ে যেতে অপারগ জানিয়ে সে অনুষ্ঠানে যাননি ইমাম।

সকাল থেকে নুরানি মসজিদ এলাকার অনেক বাসিন্দাই সিবগাহতুল্লার পরীক্ষার ফল জানার অপেক্ষায় ছিলেন। ৪১২ নম্বর পেয়েছে সে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, উর্দুতে ৭১, ইংরেজিতে ৬১, অঙ্কে ৪০, ভৌত বিজ্ঞানে ৪৫, জীববিজ্ঞানে ৫৭, ইতিহাসে ৭৩ ও ভূগোলে ৬৫ পেয়েছে সিবগাহতুল্লা।

ইমাম বলেন, ছেলে নেই। ও পাস করেছে শুনে ভালো লাগছে।

ছেলের আত্মার শান্তি কামনা করে বলেন, যারা এবার মাধ্যমিক পাস করল, সবাই আমার সন্তানের মতো। প্রত্যেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ফল প্রকাশের দিন মন খারাপ ছিল সিবগাহতুল্লার শিক্ষক ও সহপাঠীদেরও।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিদ হুসেইন খান বলেন, খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল সে। পড়াশোনা করত মন দিয়ে। স্কুলের সব রকম অনুষ্ঠানেও সক্রিয় থাকত। এমন দিনে সিবগাহতুল্লা নেই, ভাবতেই পারছি না!

স্কুলের তরফে ইমামের এক প্রতিনিধির হাতে ছেলের মার্কশিট তুলে দেয়া হয়। ছেলের ফল জানার পর সারা দিন আর মসজিদ থেকে বের হননি ইমাম।

Next Post

নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়।

বৃহস্পতি জুন ৭ , ২০১৮
নাটোর প্রতিনিধি: নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ সভাপতির নানা নাটকিয়তার অবসান হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানুর সাহসী ও বুদ্ধিদিপ্ত পদক্ষেপে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সেনভাগ লক্ষিকোল টুলটুলিপাড়ায় নিজ বাড়িতে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায়,১০ম শ্রেণীর এক […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links