আভা ডেস্কঃ মৃত্যুর পর মানুষের শেষ জায়গা কবরস্থান। তবে সেখানে নিরাপদ নয় মানুষের মরদেহ। অধিক মুনাফা লাভের আশায় রাতের অন্ধকারে কবর থেকে চুরি হচ্ছে কঙ্কাল।
মেডিকেল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কঙ্কালের প্রয়োজন হয়। চুরি করা এসব কঙ্কাল বিক্রি করা হচ্ছে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কাছে।
গাজীপুর বিভিন্ন এলাকায় কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। জেলার শ্রীপুরের সম্প্রতি একটি গ্রামেই কিছুদিনের মধ্যে ঘটে গেছে অনেকগুলো কঙ্কাল চুরির ঘটনা।
স্থানীয়রা জানায়, বেশিরভাগ কবরগুলো বাঁশের বেড়া দিয়ে রাখা হয়। এরপর ২ থেকে ৩ মাস পরে অনেক সময় দেখা যায় এসব কবরের মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। অনেকে মনে করেন শিয়ালে খুঁড়েছে। তবে কিছুদিন আগে অনেকগুলো কবরে এমন দৃশ্য দেখার পর লোকজনের সন্দেহ হয়। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর এলাকাবাসী নিশ্চিত হন কঙ্কাল চুরি হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গ্রামের অরক্ষিত কবরগুলো থেকে কঙ্কাল চুরির পর তা রাজধানীতে পাঠায় একটি চক্র।
সম্প্রতি কঙ্কাল চুরির করতে গেলে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সেই ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চুরির পর এসব কঙ্কাল প্রায় ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
শ্রীপুর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) জাভেদুল ইসলাম বলেন, দুমাস আগে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে। তবে সম্প্রতি আমরা কোনো কঙ্কাল চুরির খবর পাইনি।
শ্রীপুর উপজেলার মসজিদের ইমাম জানিয়েছেন, এক মাসে ত্রিশটির মত কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুন্নাহার বলেন, কঙ্কাল চুরির বিষয়টি তাকে কেউ জানাননি। তিনি এ বিষয়ে জানেন না।
এর আগে গত বছর কালিয়াকৈর উপজেলার একটি গ্রামে প্রায় দুডজন কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
২০১২ সালে গাজীপুর পৌর এলাকার একটি কবরস্থান থেকে লাশ ও কঙ্কাল চুরির ঘটনা নিয়ে বেশ শোরগোল হয়েছিলো।
সেবার মোট ২৩টি কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। এরপরেও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিত এ ধরনের চুরির খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র বিবিসি ও যুগান্তর