খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ।

আভা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় রোববার সকাল থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি দিনের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি উপস্থাপনের পর আদালত ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।

ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।

এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেয়া হয়।

বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন।

তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক ওবায়দুল হাসান বলেছিলেন, এর আগে তো আমরা এই আবেদনটি খারিজ করেছিলাম। পরে আপিল বিভাগও সেটি বহাল রেখেছেন। জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা তো আবারও আসতে পারি। জামিন চাইতে বারবার আসতে তো বাধা নেই। বিচারক তখন বলেন, ঠিক আছে, আমরা বিষয়টি রোববার শুনব।

শুনানিতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় ‘মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। জামিন পেলে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান।

আবেদনকারীর (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না, খেতে পারছেন না। এমনকি ওষুধও নিতে পারছেন না। তাই দ্রুত তাকে যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে নিয়ে আধুনিক, উন্নত চিকিৎসা বা থেরাপি দেয়া প্রয়োজন। তার এই অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক উন্নত থেরাপি বা চিকিৎসার স্বার্থে নতুন করে জামিন আবেদনটি করা হয়েছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গত এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দল ও পরিবারের সদস্যরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও তাতে অনুমতি মেলেনি।

Next Post

আগামী ১ মার্চ সম্মেলনে ত্যাগী নেতা কর্মীরাই প্রধান্য পাবে, এ, এইচ, এম খায়রুজ্জামান লিটন ।

রবি ফেব্রু. ২৩ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাসিক মেয়র ওমহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগ পরিবার নানা কঠিন সময় পার করেছে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। দুঃসময়ে আমাদের পাশে সব সময় তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা থেকেছে। আগামীতে কখনো দুঃসময় আসলে তারাই পাশে থাকবে। […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links