ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়…৷ কবিতা সত্যি হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে, বাড়ছে ক্ষুধার রাজ্য৷ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে না খেতে পাওয়া মানুষের সংখ্যা৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে৷ রাষ্ট্রসংঘের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে দশ বছর পর প্রথম গোটা পৃথিবীতে বাড়ল ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা৷ তাও নেহাত কম নয়৷ ৩ কোটি ৮০ লক্ষ৷
২০১৬ সালে গোটা পৃথিবীতে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৭৭৭ মিলিয়ন৷ অর্থাৎ প্রায় ৭৭ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ অন্তত একবেলা না খেয়ে দিন কাটাতে৷ ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১৫ মিলিয়নে৷ অর্থাৎ গতবছর অন্তত একবেলা না খেয়ে কাটিয়েছেন গোটা বিশ্বের প্রায় ৮১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ৷ যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ৷ একবছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩ কোটি ৮০ লক্ষ৷
কিন্তু কেন বাড়ছে খিদে, তার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী হয়তো মানুষ নিজেই৷ রাষ্ট্রসংঘেরই দেওয়া রিপোর্টের একটা অংশ বলছে গত একবছরে ঘরছাড়া হয়েছেন ৬৮.৫ মিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৬ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ পেয়েছেন উদ্বাস্তু তকমা৷ মূলত যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়ায় প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ছাড়তে হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষকে৷ ইউরোপের দেশগুলিতে গিয়ে তারাই পেয়েছেন উদ্বাস্তুর তকমা, তাদের বেশিরভাগ অংশই এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন৷
ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পিছনে আরও একটি কারণ অবশ্য আবহাওয়ার পরিবর্তন৷ আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য গত একবছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের৷ গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ৷ মূলত দক্ষিণ আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ৷ রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে নির্দিষ্ট কোনও দেশের কথা উল্লেখ না থাকলেও ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতেই পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ তা উল্লেখ করা হয়েছে৷ কিছুদিন আগেই ক্ষুধা সূচকে শততম স্থানে ছিল ভারত৷ বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্তের সংখ্যা বাড়ার পিছনে যে ভারতেরও বড় যোগদান রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে এই পরিসংখ্যান থেকেই৷
সংবাদ প্রতিদিন
উক্ত প্রতিবেদনটি জনস্বার্থে প্রকাশ করা হলো