সিইসি-ইসি নিয়োগ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন

আভা ডেস্কঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রী সভা।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর আওতায় রাষ্ট্রপতির নির্দেশে একটি অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইন অনুযায়ী সিইসি বা ইসি হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫০ বছর। সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতে। সময়ের হিসাবে মাস দুয়েক হাতে থাকলেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরগরম দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইনে চূড়ান্ত অনুমোদনের খবর আসলো।

পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বঙ্গভবনে ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি। এখন পযর্ন্ত সংলাপে অংশ নেয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আইন তৈরি হয়নি দেশে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে।

তবে ২০১২ সাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চার কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে দেশে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘(১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’

তবে সংবিধানের আলোকে ওই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা এড়াতে শেষ দুবার সার্চ কমিটি গঠন করে ইসি গঠন হলেও বিতর্ক থামেনি।

গত দুবারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নতুন বছরের আগেই মধ্য ডিসেম্বরে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি। মধ্য জানুয়ারিতে সংলাপ শেষ হয়। সার্চ কমিটি গঠিত হয় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। নাম প্রস্তাব ও বাছাই শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সিইসি ও ইসির নাম প্রকাশ করা হয়।

Next Post

নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে বিতর্ক কম হয়েছে : হারুনুর রশীদ

সোম জানু. ১৭ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নতুন বছরে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিতর্ক তুলনামূলক কম হয়েছে। বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম খন্দকার ওই নির্বাচনে মেয়র […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links