নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নতুন বছরে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। তিনি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিতর্ক তুলনামূলক কম হয়েছে।
বিএনপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া তৈমূর আলম খন্দকার ওই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ বিষয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় হারুনুর রশীদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে তুলনামূলক বিতর্ক কম হয়েছে, তবে সেখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।নিজ এলাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি জানিয়ে এই সাংসদ বলেন, গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনগুলো হয়েছে। গত অধিবেশনে স্পিকারের মাধ্যমে আবেদন করেছিলাম অন্ততপক্ষে জনগণ যাতে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোটের দিন ৫০ জন সাংবাদিকের সামনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই দিন কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ইভিএমে ভোট হয়েছে। সেখানে ব্যাজ লাগানো অনেককেই দেখা গেছে, কেউ বলে ইভিএম মনিটর, কেউ টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে কথা বলেছিলাম, উনিও বলছিলেন, ‘গোপন কক্ষেও লোক!’
হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ ও উৎসাহ একেবারেই নেই। প্রধানমন্ত্রী তিন বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে সুস্পষ্ট বলেছিলেন, দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে, অসদুপায় অবলম্বন করা। আপনি অসদুপায় অবলম্বন করে নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হোন।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব, আমার নির্বাচনী এলাকায় যে পৌর নির্বাচন হয়েছে, তার যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কি না? এটি আমার দাবি। হারুনুর রশীদের বক্তব্য চলাকালে একপর্যায়ে স্পিকার তার মাইক বন্ধ করে দিলে তিনি বিনা মাইকেই কথা বলতে থাকেন।