আভা ডেস্কঃ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তরে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। বয়সসীমা কেন বাড়ানো হচ্ছে না, তা-ও বলেন তিনি।
সরকারি দলের সাংসদ হাবিবে মিল্লাতের প্রশ্নের জবাব দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় সেশনজট থাকলেও এখন সেশনজট তেমন নেই। এতে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩–২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়ে যাচ্ছেন। আর সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর। অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও চাকরিতে আবেদনের জন্য ছয় থেকে সাত বছর সময় পাচ্ছেন। তা ছাড়া, ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা সম্প্রতি ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। এতে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা বেশ বেড়ে যাবে। এতে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়তে পারে। ৩০ বছরের বেশি বয়সীরা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।