নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে বিদেশি পিস্তলসহ তিন ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে । তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারীরা হলো, মহানগর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে জানা ওরফে জনি (৩০) জানার ছোট ভাই রায়হান ওরফে পাপ্পু (২৬) অন্যজন নওদাপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম জনি (২৮) ।আটকদের নিকট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার পুলিশ জানায়, এই তিন ছিনতাইকারীকে রোববার দিনগত রাত ১টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ পানির পাম্প এলাকা থেকে পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার পাপ্পু, জনির সঙ্গে রতন ও ইলিয়াস নামে আরও দুইজন রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণালী মোড়ের পেছনে ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তারা ইমরানকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আহত ইমরানের বাড়ি হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইমরানের বড় ভাই শওকত হোসেন। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু হয়। তবে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে পাপ্পুর পা ভেঙে যায়।
পরে তাকেসহ তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাপ্পুকে রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা
এর মধ্যে পাপ্পুর বিরুদ্ধে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাতেই ছয়টি মামলা আছে। জনির বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। আর আশরাফুল বিরুদ্ধে রাজপাড়া ও পবা থানায় তিনটি মামলা আছে। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাই, মারামারি এবং মাদকদ্রব্য বিক্রির অপরাধে মামলা রয়েছে। তারা বারবার গ্রেপ্তার হয়। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ছিনতাই তাদের প্রধান ‘পেশা’।