আভা ডেস্কঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন পিটিশন খারিজ করেছে।
হাইকোর্ট মঙ্গলবার বলেছে, হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়।
কর্ণাটক হাইকোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিনের ভিত্তিতে মামলার শুনানি করেছিল।
হাইকোর্টের আদেশে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী শান্তি ও সম্প্রীতির আবেদন জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে উচ্চ আদালতের আদেশ মেনে চলা উচিত। তাদের ক্লাস বা পরীক্ষা বর্জন করা উচিত নয়।’
হিজাব নিয়ে রায়ের পর সংঘর্ষের আশঙ্কায় কর্ণাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরুতেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত বড় জমায়েত। হিজাব বিতর্কের কেন্দ্র উদুপিতে মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ঘটনার শুরু ৩১ ডিসেম্বর কর্ণাটকের উদুপি জেলায়। সেখানকার একটি সরকারি কলেজে সেদিন পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ দেয়া হয়। এতে মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে হিজাব পরে থাকতে পারবেন না বলে জানানো হয়। তবে ক্লাস শেষে বা শুরুর আগে পর্দা করতে আপত্তি নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিনই প্রতিবাদ করেন ছয় শিক্ষার্থী। সময়ের সঙ্গে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
হিজাব পরার পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ অনেক জায়গাতেই সহিংস রূপ নেয়।
হিজাব নিয়ে বিতর্কে তৈরি হওয়া উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে।
এই ইস্যু গড়ায় আদালতে। কর্ণাটক হাইকোর্ট জানায়, যতদিন পর্যন্ত হিজাবসংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে, ততদিন স্কুল ও কলেজে যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না। একই সঙ্গে রাজ্যটির স্কুল ও কলেজ খুলে দিতে বলা হয়।
এক দফা শুনানির পর সেটি হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়।