নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার বহরইল গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলামকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যার মামলার প্রধান আসামিকে ছয়বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মণ্ডলপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান চালায়। গ্রেপ্তার আসামির নাম ময়েজ উদ্দিন (৫০)। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বহরইল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে শহীদুল খুনের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এক সময় নাটোরের বাগাতিপাড়ার মণ্ডলপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির কাছে নিজেও বাড়ি করে বসবাস করতে শুরু করেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে তানোরের বহরইল গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ধান কাটা শ্রমিক শহীদুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশ ধান খেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে নিহতের স্ত্রী সফেরা বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। তখন থেকেই পলাতক ছিলেন ময়েজ। পলাতক অবস্থাতেই পুলিশ তাঁকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ওই মামলার অভিযোগপত্র দেয়।
র্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, শহীদুল খুনের পর ময়েজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় থেকেছেন। একসময় বাগাতিপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির কাছে আলাদা বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছয়বছর পর এখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। শনিবার সকালে আসামিকে তানোর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।