নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনা কাটায় প্রায় ৭ কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তা ফলাও ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারী উক্ত অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পশ্চিম রেলওয়ে মেডিকেল ও জিএম দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন দিয়ে পশ্চিম রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের প্রধান রাসেদ ইবনে আকবরকে না পেয়ে তাঁর দপ্তরে গেলে তিনি বলেন, আমি ফোন ধরতে বাধ্য নই। আমার বক্তব্য নিতে হলে জিএম এর অনুমতি লাগবে।
জানা যায়, রাজশাহী পশ্চিম রেলের সরাঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তরের যোগসাজশে রেল মেডিকেলের কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে। দুনীতি’র মাস্টার মাইন্ডরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। তদন্ত কমিটি গঠন হয়, তদন্ত শেষে ফাইল চলে যায় হিমাগারে। রেল মেডিকেলের কেনাকাটায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশের পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন পশ্চিম রেল কতৃপক্ষ।
কমিটিতে ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনকে আহবায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ডিএমও ডাঃ মারুফুল আলম ও ডিএসই (হেড কোয়াটার) আহমেদ ইসতিয়াক জহুর। তদন্ত কমিটি গঠন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো তদন্ত শেষ করতে পারিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে কমিটি’র প্রধান ডেপুটি সিওপিএস হাসিনা খাতুনকে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কথা বলতে পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, পূর্বের সিওএস এর মতোই নানা অনিয়ম দুর্নীতি সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন বর্তমান সিওএস রাসেদ ইবনে আকবর। তাঁর অল্পদিনের যোগদানে গড়েছেন নতুন সিন্ডিকেট।