আভা ডেস্কঃ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
দেশের পাঁচ জেলায় বৃহস্পতিবার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর এবং জমি হস্তান্তর করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রীয় বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সবগুলো জেলার সঙ্গে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী এসবের (জ্বালানি, খাদ্য) সংকট শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষকেও যার যার জায়গা থেকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা উন্নত বিশ্বও এ পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে।
‘তাই সবাইকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে; খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে আমরা সংকট এড়িয়ে এগিয়ে যাব।’
বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্যোগ, মহামারি এবং যুদ্ধ চলছে। এ কারণে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। একে তো করোনা মহামারি, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা চলছে। ইউরোপ তাপদাহে পুড়ছে। বন পুড়ে যাচ্ছে; বিমানবন্দরের পিচ গলে যাচ্ছে। এককথায় বিশ্বব্যাপী সংকট শুরু হয়েছে।
‘কাজেই আমাদের এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফুয়েল এবং পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। সংকট আসার আগেই সাবধান হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে সঞ্চয় বাড়াতে হবে। সেটা খাদ্য হোক বা জ্বালানি হোক, দুর্যোগ ও সংকট আসার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা এ দেশের মানুষ সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে এ দেশ অবশ্যই এগিয়ে যাবে। সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি; সামনে উন্নত দেশের মর্যাদাও পাব।
“৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু অবিনাশী বক্তব্য দিয়েছিলেন যে, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না।’ আমরা সবাই দায়িত্ব পালন করলে আসলেই কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।”