আভা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ। সরকারকে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিওবার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমত করোনার সংক্রমণ রোধ ও অসহায় মানুষের নিরাপত্তা।
দ্বিতীয়ত দেশের বন্যাকবলিত ১২ জেলার মানুষের সুরক্ষা। তৃতীয়ত আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় এড়ানো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের মানুষের অবাধ চলাচল ও ভিড় সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই আসন্ন ঈদুল আজহায় এ সমাগম ও ভিড় এড়ানোয় যে কোনো মূল্যে আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন ও সাবধান হয়ে আসন্ন ঈদে যাতে সংক্রমণ না বাড়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই।
বিএনপির নেতাকর্মীদের আটকে রেখে সরকার কারাগারগুলো ভরে রেখেছে– দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাব দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব অভিযোগ করছেন সরকার নাকি দেশের কারাগারগুলো ভর্তি করে ফেলছে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে। আমরা বলতে চাই– বিএনপির শীর্ষ নেতারা, তাদের ৫৯২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির কোন নেতা এখন জেলে আছেন?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ত্রাণ চুরিসহ নানা অপরাধে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের পরিচয় তারা অপরাধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তারাও অপরাধী। তাদের দলীয় পরিচয় দেখা হবে না।
তিনি বলেন, সরকার নিজেদের লোকজনকেও এ ব্যাপারে ছাড় দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী ত্রাণে অনিয়ম, মজুদ করা এসব অপরাধের জন্য ইতিমধ্যে অনেককেই গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। তারা এখন জেলে আছেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, চিহ্নিত অপরাধী ছাড়া বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা কি গ্রেফতার হয়েছেন? বিএনপি প্রতিদিন অশ্রাব্য ভাষায় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেও সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শতপ্রতিকূলতার মাঝেও থেমে থাকেনি। ইতিমধ্যে ৩১টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে, দৃশ্যমান হয়েছে চার হাজার ৬৫০ মিটার। এ ছাড়া ইতিমধ্যেই স্থাপিত স্পান বা ট্রাসের ওপর যানবাহন চলাচলের স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত মূল সেতুর ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হয়েছে ৭৩ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, জাইকার অর্থায়নে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নের প্রকল্প মেট্রোরেল রুট ৬-এর কাজ এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পে কর্মরত জনবলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা শেষে তাদের কর্মে নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসিক স্থাপনা।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে দুটি ফিল্ড হসপিটালের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে। স্থাপন করা হয়েছে রেললাইন। একসেট ট্রেন নির্মাণকাজ জাপানের কারখানায় সম্পন্ন হয়েছে। আরও চার সেট নির্মাণ করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাপান থেকে জলপথে ট্রেনগুলো নিয়ে আসা হবে।
সুত্রঃ যুগান্তর