সরকারি স্কুলে ভর্তির ফল প্রকাশ

আভা ডেস্কঃ আগামী বছরের জন্য সরকারি স্কুলগুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন ও ফল প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

গতকাল বুধবার বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে তিনি বোতাম চেপে লটারির কার্যক্রম শুরু ও ফল প্রকাশ করেন।

অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি হচ্ছে টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে।

সারাদেশে ৪০৫টি সরকারি স্কুলের ৮০ হাজার ১৭টি শূন্য আসনের বিপরীতে মোট ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থীর আবেদন লটারিতে জমা পড়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

লটারির জন্য ঢাকা মহানগরীর ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ফিডার শাখাসহ তিনটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুলের নাম দিতে পেরেছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়, আগামী বছরের জন্য সরকারি স্কুলগুলোয় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬ জন।

সারাদেশে মোট ৪০৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৮০ হাজার ১১টি। এর মধ্যে অনেকেই একাধিক স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে। সেই হিসাবে পছন্দক্রম আবেদন জমা পড়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৪৬টি। আসনসংখ্যার হিসাবে প্রতি আসনে ভর্তির জন্য প্রায় ১৩ জন আবেদন করেছে।

২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য গত ২৫ নভেম্বর থেকে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়। রোববার রাত ১২টার আগে অনলাইন আবেদন শেষ হয়।

এর আগে মাউশি এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।

করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়।

Next Post

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও শোষণ ও বৈষম্যহীন দেশ পায়নি দেশের মানুষ - জিএম কাদের

বুধ ডিসে. ১৫ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও শোষণ ও বৈষম্যহীন দেশ পায়নি দেশের মানুষ। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিলো শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন। অথচ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে স্বাধীনতার মূল চেতনা থেকে দেশকে […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links