শিক্ষা নগরী খ্যাত রাজশাহীর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শিক্ষা নগরী খ্যাত রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা হুমকির মুখে পড়াসহ নানা অপকর্মে জড়িত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অভিভাবকহীন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা কর্মকাণ্ডে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে তরুণ প্রজন্ম তথা দেশ হুমকির মুখে পড়বে। নগরীর দীর্ঘদিনের সুনাম ও অর্জনও ম্লান হতে পারে, এমনটা মনে করছেন সুশীল সমাজ। তাঁরা বলছেন অপরাধের শেকড় এই মুহুর্তে উদঘাটন করা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজশাহীতে দিন দিন বাড়ছে বহুমাত্রিক অপরাধ। সবচেয়ে উদ্বেগের ব্যাপার হচ্ছে  নেশা। ছেলে-মেয়েরা, রাজশাহীর মেসগুলোতে নেশা করতে খুব বেশি সুবিধা করতে পারে না। কারণ সেখানে মেস মালিকদের থাকে কড়া নজরদারি। ফলে, বিকল্প হিসেবে, সংবদ্ধভাবে ৫/৬/৭ জন মিলে সহজে একটা বাসা বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন, আর চলছে নেশার উল্লাস। যেহেতু মেসমালিকদের মতো বাসা মালিকরা মনিটরিং করে না। সেহেতু সেখানে তারা যা ইচ্ছে তা করতে পারেন।

এছাড়া সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, মিথ্যা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা নিচ্ছে এবং এক ধরনের ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে অপরাধের সীমা অতিক্রম করছে। তাদের দেখাদেখি নবাগত শিক্ষার্থীবৃন্দ উৎসাহ পাচ্ছে, এতে সুস্থ পরিবেশে এটা অশনিসংকেতও বলা যেতে পারে।

এসব অবৈধ সম্পর্কের ফলে ঠুনকো দ্বন্দ্বের কারণে অনেকেই আত্মহননের মত জঘন্য রাস্তা বেছে নিচ্ছে। অথচ, তারা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে থাকলে এটা ঘটতো না। যেহেতু তারা বয়সে অনেক ছোটো, আবেগের তাড়না বেশি, তাই ভুল করার প্রবণতাও বেশি। বাবা-মা যেহেতু সাথে থাকেন না, তাই অবাধ স্বাধীনতাটুকু ভালো পথে না লাগিয়ে ধ্বংসের পথে ব্যয় করে।

এছাড়া, দেশদ্রোহী কাজ বা জঙ্গিদের সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য এভাবে বাসাবাড়ি ভাড়া পাওয়া একটা বড়ো ধরনের সুযোগও বটে তাদের কাছে।

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দুষ্টচক্র আরও বেশি সক্রিয় হতে পারে এসব বাসাবাড়িতে।

অভিভাবক ও সচেতন মহলের দাবি, বিষয়গুলো  রাজশাহী নগরীর, মেয়র  এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সাংবাদিকসহ সকল সুধীজনের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন, যাতে দ্রুত এর একটা সুষ্ঠু  সমাধান হয়।

এ বিষয়ে কথা বললে আরএমপি মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, এতগুলো বিষয়ে কথা বলতে এখন পারবো না। আমি একটি জরুরি মিটিং এ আছি। পরে কথা বলতে বলেন। এরপর একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কথা বলা হলে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জামাত খান বলেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি জরুরি। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোও বিষয়টি তদারকি করতে পারেন। বাসা বাড়ির মালিকদের দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে। তাঁরা সচেতন হলে অনেক অংশে অপরাধ কমে যাবে।

Next Post

নন্দীগ্রামে তৈরীকৃত কাসুন্দি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে, স্বাবলম্বী ২০/২৫টি পরিবার

মঙ্গল সেপ্টে. ২০ , ২০২২
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ স্বল্প বিনিয়োগে স্বাবলম্বী হয়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ২০/২৫টি পরিবারের নারী। সংসারের অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে কাসুন্দি তৈরি করে আয় করছেন তারা। কাসুন্দির অপর নাম কাসন। এটি তৈরি হয় ঝাঁজাল সরিষা ব্যবহার করে। উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের  হাটধুমা হিন্দুপাড়ার নারীদের তৈরি কাসুন্দি বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links