আভা ডেস্কঃ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। তবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গত তিন মাসে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি দেখা গেছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় রোববার বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপ শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে নুল্যান্ড বলেন, ‘আমরা জানি নিষেধাজ্ঞা একটি জটিল বিষয়। আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন র্যাবের কার্যকলাপ, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। তবে আমরা গত তিন মাসে এই বিষয়গুলো সমাধানে উন্নতি দেখতে পেয়েছি। আমাদেরকে পররাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সরকার এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দায়বদ্ধতা ও বিচার নিয়ে সরকার কাজ করছে। আমাদেরকে আজকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সরকারের পরিকল্পনা জানিয়ে একটি নথি দেয়া হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখব, কারণ নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ দমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি এবং আজকে একটি অনানুষ্ঠানিক পত্র তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। আশা করছি এ বিষয়টি দ্রুতই সমাধান হবে।’
দুই দেশের সংলাপের শুরুতে ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
অষ্টম অংশীদারত্ব সংলাপে যোগ দিতে গত শনিবার একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকায় আসেন ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। সোমবার তার ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।