আভা ডেস্কঃ দেশের পূর্বাঞ্চলের রেলব্যবস্থাকে মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তর করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য রেল বিভাগ থেকে গাজীপুরে একটি কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে। কারখানাটি নির্মাণে রেলের ব্যয় হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। রেল বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের পাশের দেশ ভারত তাদের রেলব্যবস্থাকে অনেক আগেই ব্রডগেজে রূপান্তর করেছে। সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুরোপুরি ব্রডগেজ লাইন চালু হলে ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা আরও উন্নত করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদা বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে দেশের সকল রেললাইন ব্রডগেজের আওতায় চলে আসবে। সে জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। তারই অংশ হিসেবে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
বর্তমানে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ব্রডগেজ লাইন আছে। এর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৮ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার। পূর্বাঞ্চলে মিটারগেজের পরিমাণ ২ হাজার ৫৭৩ দশমিক ৯৬ কিলোমিটার, যার পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। দুই অঞ্চলে ডুয়েলগেজ (মিটারগেজ ও ব্রডগেজ) আছে ৭৩১ দশমিক শূন্য ৬ কিলোমিটার। রাজধানী ঢাকার কমলাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যে লাইনটি রয়েছে সেটি ডুয়েলগেজের। এর বাইরে পূর্বাঞ্চলে যে পরিমাণ লাইন রয়েছে তার পুরোটাই মিটারগেজের। পশ্চিমাঞ্চলের রেলের ব্রডগেজ কোচ ও ওয়াগন মেরামতের জন্য সৈয়দপুরে একটি কারখানা আছে এবং ইঞ্জিন বা লোকোমটিভ মেরামতের জন্য পার্বতীপুরের একটি কারখানা আছে। কিন্তু পূর্বাঞ্চলে ব্রডগেজের কোনো কারখানা নেই।
পূর্বাঞ্চলে ব্রডগেজ লাইন চালু হওয়ার পর ধীরে ধীরে মিটার গেজলাইন বন্ধ করে দেয়া হবে। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. আবেদুর রহমান দৈনিক বাংলাকে জানান, প্রকল্পের কাজ দুটি ভাগে ভাগ হবে। প্রথমে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এরপর কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ভূমি অধিগ্রহণের একটি খসড়া প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে গত জুনে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করেছে কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রডগেজ কোচ মেরামত কারখানা করতে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর জন্য ৩০০ একরের বেশি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যাতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে পূর্বাঞ্চলে ব্রডগেজ কোচ ও লাইন মেরামতের কোনো কারখানা নেই। কিন্তু যখন এই রুটে ব্রডগেজ লাইন চালু হবে তখন তা মেরামতের জন্য কারখানার দরকার হবে। তাই নতুন এই কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর মিটারগেজ কারখানাকে ব্রডগেজে রূপান্তরের চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরামর্শকরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, ওই কারখানাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা পাহাড়তলীতে নেই। সেখানে নতুন কারখানা করতে হলে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও একটি স্কুলের স্থাপনা ভাঙতে হবে। কিছু পাহাড়ও কাটতে হবে, যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রেল বিভাগ সূত্র আরও জানায়, গাজীপুরে রেলওয়ের নিজস্ব কোনো জমি নেই। তাই তাদের নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।
এই প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু জমির সংকট তাই গাজীপুরের মতো জনবহুল জায়গায় এ ধরনের কারখানা না করাই ভালো। বর্তমানে রেলের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে যে কারখানা আছে সেখানে করলে ভালো হতো। অথবা সিরাজগঞ্জ যেখানে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু হচ্ছে তার আশপাশে কোথাও করা যেতে পারে। তাহলে আলাদা করে জমি কিনতে হবে না, এতে খরচও কম হবে।
সোম সেপ্টে. ৫ , ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সোমবার সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছালে ভারতের […]
এই রকম আরও খবর
-
১২ মার্চ, ২০২১, ৭:৫৫ অপরাহ্ন
-
২৮ জুলাই, ২০২০, ৪:০৬ অপরাহ্ন
-
২৪ মে, ২০২১, ৯:২৮ অপরাহ্ন
-
১১ অক্টোবর, ২০২০, ৬:২৬ অপরাহ্ন
-
২১ জুন, ২০২২, ১০:২১ অপরাহ্ন
-
১৮ নভেম্বর, ২০২০, ৭:৪৪ অপরাহ্ন