রামেক হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল রুপপুর

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ৬০ জন রোগীর ৩৪ জন-ই পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার। রাজশাহী বিভাগে ডেঙ্গুর উৎপত্তিস্থল হিসেবে রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের ওয়ার্কিং জোন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১৫ অক্টোবর ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম ইয়াজদানীর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারীর পাঠানো হোয়াইটস অ্যাপ বার্তায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল ১৯৮ জন এর মধ্যে ১৩৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন ; একজন রোগী মারা গেছেন।

শনিবার হাসপাতালটির মেডিসিন বিভাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ৬০ জন। এরমধ্যে ৮ জন নারী ও ৫২ জন পুরুষ রোগী রয়েছেন। জেলা ওয়ারী এই রোগীর সংখ্যার মধ্যে রয়েছে পাবনা জেলার শুধুমাত্র ঈশ্বরদী উপজেলার ৩৪ জন, রাজশাহী জেলার ৯ জন, নাটোর জেলার ৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৩ জন, নওগাঁ জেলার ৩ জন এবং কুষ্টিয়া জেলার ২ জন।

ঈশ্বরদীর ডেঙ্গু পরিস্থিতি জানতে চাইলে সেখানকার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আসমা খাঁন বলেন, আমাদের হাসপাতালে বর্তমান ডেঙ্গু রোগী ১৮ জন, আজ নতুন ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, বাকী ১০ জন আগের। আমাদের এখানে ডেঙ্গু লার্ভা সনাক্ত করনের কোন ব্যবস্থা নাই, সেজন্য লক্ষণ থাকলে তাদেরকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে পৌরসভা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঈশ্বরদীর বিভিন্ন অঞ্চলে মশক নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আমাদের হাসপাতালে ভর্তি বেশীরভাগ রোগী-ই রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট বেজের অর্থাৎ পাকশীর। রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের গ্রীণ সিটির পানি পরীক্ষা করা হয়েছে গত ১২ সেপ্টেম্বর, কিন্তু সেখানে ডেঙ্গু লার্ভা সনাক্ত হয়নি। এদিকে তাদের ওয়ার্কিং জোন এলাকায় প্রচুর পরিমানে পানির কাজ হচ্ছে, নির্মান কাজ চলছে , সেখানে ডেঙ্গু লার্ভার পরিমান যথেষ্ট পরিমান থাকতে পারে বলে আমরা অনুমান করছি, কিন্তু সেখানে ঢোকার অনুমতি আমাদের স্বাস্থকর্মীদের নেই। আমরা ইতোমধ্যে তাদের কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি দিয়েছি, যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হয় এবং পরীক্ষাগুলো করতে পারি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে সার্বিক ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের তুলনায় খারাপ। বর্তমানে বেশীর ভাগ রোগী-ই রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র ও এর আশ-পাশের। অর্থাৎ এ অঞ্চলের ডেঙ্গু ছড়ানোর উৎপত্তিস্থল রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পাবনার সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ করা হয়েছে। রামেক হাসপাতালে বর্তমানে মেডিসিন ওয়ার্ডেই ডেঙ্গু চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় আলাদা ওয়ার্ড করারও প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। আশা করি করোনার মত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রনেও আমরা সফল হব।

Next Post

নন্দীগ্রামের মার্চেন্ট ক্যাপ্টেন সারোয়ার সোহেলে'র শখের বাগান

শনি অক্টো. ১৫ , ২০২২
নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল এর ‘শখের বাগান’। বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের “দমদমা” গ্রামের নন্দীগ্রাম উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপ-সচিব মোঃ দেলোয়ার হোসেন এঁর কৃতি সন্তান ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল। তিনি তাঁর প্রায় ১ একর জায়গায় প্রায় ২০/২৫ প্রজাতির দেশি-বিদেশি […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links