নন্দীগ্রামের মার্চেন্ট ক্যাপ্টেন সারোয়ার সোহেলে’র শখের বাগান

নন্দীগ্রাম থেকে আব্দুর রউফ উজ্জলঃ ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল এর ‘শখের বাগান’।

বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের “দমদমা” গ্রামের নন্দীগ্রাম উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক উপ-সচিব মোঃ দেলোয়ার হোসেন এঁর কৃতি সন্তান ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল। তিনি তাঁর প্রায় ১ একর জায়গায় প্রায় ২০/২৫ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের ‘শখের বাগান’ করেছেন।

ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল এর শখের বাগান ঘুরে দেখা যায়, বাগানে ঢোকার প্রবেশ পথে সারিবদ্ধভাবে দেশী-বিদেশী ফলের গাছগুলো লাগিয়েছেন, এদের মধ্যে থাই লিচু, থাই লটকন, থাই বাতাবিলেবু, ভিয়েতনাম নারিকেল, শ্রীলঙ্কান নারিকেল, সূর্য ডিম আম, এভোকেডার, মালয়েশিয়ান রাম্বুদান, থাই পেঁপে, থাই জাম্বুরা, জাতীয় ফল ডোরিয়ান, ফোর কেজি আম, ড্রাগনফল, কমলা, বারীফোর মাল্ট্রা, আতা, আমড়া, জাম, বারোমাসী কাঁঠাল, চায়না-৩ লিচু, আপেল, ডালিম, তাল, বেল, আমলকী, পিচফল, চেরিফল, ছফেদা, আপেল কুলসহ প্রায় ২০/২৫ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ফলের গাছ রয়েছে তাঁর শখের বাগানে। এছাড়াও অন্যান্য ফলের গাছও রয়েছে। পুরো বাগান ঘুরে দেখা যায়, বেশকিছু গাছে ইতোমধ্যে ফল আসতে শুরু করেছে, বাঁকী গাছগুলোতে আগামী বছরই ফল আসবে বলে আশা করছেন ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল।

ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল সরকারী চাকুরীজিবী হওয়ায় বছরের প্রায় সময়ই শীপে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়, তারপরেও যখনই সময় পান শখের বাগান দেখতে ছুটে আসেন গ্রামের বাড়িতে। বাগানের পরিচর্য়া ও দেখভাল করার জন্য তিনি কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ করেছেন, এমন কি তিঁনি নিজেও তাদের সাথে নিয়ে বাগানের পরিচর্যা করেন। বাঁকী দিনগুলো কর্মচারী দিয়ে বাগানের পরিচর্যা করান।

ক্যাপ্টেন মার্চেন্ট সারোয়ার সোহেল জানান, আমি অনেকটা শখের বশে ২০/২৫ প্রজাতি দেশি-বিদেশি ফলের বাগান করেছি। তিঁনি আরো জানান, বাগান করা আমার শখ, তাই পরিকল্পনা নিয়েছি ভবিষ্যতে সৌদি খেজুরের বাগান করার।

তাঁর মতে, দেশের প্রতিটি বাড়ির আঙিনা ও পুকুরপাড়ের ফাঁকা জায়গায় সকলেরই ফলজ গাছ লাগানো উচিৎ।

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এরকম তরুন উদ্যোক্তরা ফলের বাগানসহ যেকোন ধরনের বাগান করতে আগ্রহী এবং উদ্যোগীদের আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি, তিনি আরো বলেন, আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে এবং বাগান করা বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে চলেছে। তাই আশা করছি নন্দীগ্রাম উপজেলায় দিন দিন বিভিন্ন ফুল, ফল ও সবজি বাগানসহ বিভিন্ন ধরনের বাগান বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পাবে।

Next Post

ভারতে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন রাসিক মেয়র লিটন

শনি অক্টো. ১৫ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ ভারতে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার বিকেলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ভারতের চেন্নায় থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছান তিনি। আগামীকাল (১৬ অক্টোবর) রাজশাহীতে ফিরবেন নগরপিতা। ভারতে চিকিৎসাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links