রাবির তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন আদালত।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে চলতি সপ্তাহে নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০১৬ সালে দেওয়া বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরখাস্তকারীদের মধ্যে থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩.০১.২০) শুনানি শেষে বিচারক মো. আশরাফুল কামাল ও রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি আবেদনের জন্য বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিলেন। তবে তখন নিয়োগ হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে কিছুটা পরিবর্তন করেছিল। তাই আদালত এই বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পাওয়া তিন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘২০১৬ সালে যেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল আদালত সেই বিজ্ঞপ্তিতে যারা দরখাস্ত করেছিলেন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’

এদিকে, শুনানি চলাকালীন আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছিলেন এ বিষয়ে রায় ঘোষণার পূর্বে প্রশাসন যেন কোনো কিছু প্রসিড না করে। তা সত্ত্বেও গত রবিবার (২৬.০১.২০) সকালে উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড শুরু হয়। ওইদিন সন্ধ্যাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯৭তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। সভায় তিন সদস্য তাদের নিয়োগে বিরোধিতা করেন। এ ছাড়াও ভাইভা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই নিয়োগকে ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানান। নিয়োগপ্রাপ্ত ওই তিন শিক্ষকের নাম শামসুন্নাহার, মুখতার হোসেন ও রেজভী আহমেদ ভুঁইয়া।

জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে এখনও কিছু শোনেননি বলে প্রতিবেদককে জানান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তিনটি পদের বিপরীতে বিভিন্ন যোগ্যতা নির্ধারণ করে বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই সময় ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ হয়নি। পরবর্তীতে গত বছরের ৩০ জুলাই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের প্রশাসন। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়েই প্রভাষক পদে আবেদনের জন্য এগ্রিকালচারাল ক্যামেস্ট্রি নামে নতুন একটি বিষয় সেই বিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হয়।

এর পরপরই হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট নতুন বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শুনানি শেষ হয়।

Next Post

এ ধরনের অপরাধ হোয়াইট কলার ক্রাইম । সাবেক ডিআইজি বজলুর রশীদকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।

বুধ জানু. ২৯ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ অসদুপায়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাবেক ডিআইজি বজলুর রশীদকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছেন, আমরা মামলার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেছি। রেকর্ডের সঙ্গে এজাহারের তেমন অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়নি। জামিন আবেদনকারী তিন মাস দশ দিন ধরে কারাগারে আছেন। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links