নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে নিজের পৈতৃক সম্পদ বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নগরীর শালবাগান এলাকার শাহ শাবাব বাপ্পা নামের এক ব্যাক্তি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় তার নিজ বাসাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার পিতা মরহুম আঃ সামাদ, সাং- সপুরা, হোল্ডিং- ১৪৩ বেঁচে থাকতে আমাকে রাজশাহী পলিটেকনিক এর বিপরিত পাশে থাকা “শাহ সামাদ ভিলা” বাড়িসহ জমি লিখিত দলিল করে দিয়ে যায় প্রায় ৩০ বছর পুর্বে। যার মৌজা – সপুরা, দাগ নং- ৯৭০, হোল্ডিং নং- ১৪৩। কিন্তু বাড়িটি আমার প্রয়োজন না হওয়ায় উক্ত বাড়িটি আমার আত্নীয়কে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে উক্ত বাড়িটি আমার প্রয়োজন হলে ঐ বাড়িতে থাকা আত্মীয়কে বাড়িটি ছেড়ে দিতে বলি। সে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে, বর্তমানে বাড়িটি আমার ভোগদখলে রয়েছে। কিন্তু এই বাড়িটির আমার মৃত বড়ভাইয়ের বৌ ও তার সন্তানরা দখল নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম পায়তারা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ আগষ্ট ২০২০ তারিখে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় আমার স্ত্রী উপস্থিত হয়ে একটি ছিনতায় মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-৪৫২/২০। এরপর থেকে আমার ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। ঐ মামলার জের ধরে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে আমার বাড়িতে আমাকে মেরে ফেলে আমার বাড়ি দখলের চেষ্টায় আমার ভাতিজা শাহ মাহিদ ফয়সাল অমিত ও মোঃ সোহেলসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন আসে এবং আমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন অন্যথায় আমাকে মেরে ফেলবে। আমি আমার নিরাপত্তার সার্থে শনিবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে ১০-১২ জন অজ্ঞাত করে একটি সাধারণ ডায়েরী করি। এমতাবস্থায় এখন আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এবিষয়ে ভুক্তভুগী শাহ শাবাব বাপ্পার নিকট সাংবাদিকরা জমির কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার পৈতৃক সম্পত্তি, আমি বাটোয়ারা সুত্রে এই সম্পত্তির মালিক। আমি দীর্ঘদিন ধরে এই সম্পত্তির খাজনা খারিজ দিয়ে আসছি। তাই আমার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে।
তবে এবিষয়ে বিবাদী অর্থাৎ তার বড়ভাইয়ের পরিবারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি ।
এ বিষয়ে কথা বললে বোয়ালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে শাহ শাবাব বাপ্পা নামের এক ব্যাক্তি সাধারণ ডায়েরী করেছেন । বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি ।