নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (১০সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় ১৩ টি পদে প্রার্থীদের যাচাই বাছাই শেষ করে মনোনয়নের চুড়ান্ত তালিকা করেছেন কমিশনের সচিব, সময়ের কথা টুয়েন্টি ফোরের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক মীর তোফায়েল হোসেন। আগামী ১৬ তারিখের নির্বাচনে ১৩ টি পদে মোট ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৩ পদের মধ্যে ৫ টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ৫ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৫ প্রার্থী হলেন, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহিন সাগর, কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী ওদুদুজ্জামান সুবাস, দপ্তর সম্পাদক পদপ্রার্থী সুলতানুল আরেফিন নেহাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী রাফিজ বিন সরকার পাভেল। বাঁকি ৮ টি পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারনা করছে নির্বাচন কমিশন ও ক্লাবের সাংবাদিকরা।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় রয়েছেন সাবেক নির্বাহী সদস্য শাহিনুর রহমান সোনা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন ও সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম। অন্যান্য পদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে লড়াই করছেন আলাউদ্দিন মন্ডল ও আনসার তালুকদার স্বাধীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আল আমিন হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এফডিআর ফয়সাল ও নাজমুল হক। এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে আবুল হাসেম, আকতার হোসেন হীরা, এসএম শফিকুল আলম ইমন এবং আল আমিন পাপন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব মীর তোফায়েল হোসেন সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে আসন্ন ১৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করা হয়। এরপর ৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। আজ ১০ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই এর শেষ দিন ছিল। ইতিমধ্যে যাচাই বাছাই শেষ করেছি। বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের আগামী দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মোট ১৮ জন সদস্য বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই ক্লাবের যারা প্রার্থী ও ভোটার আছেন তারা সবাই সরকার নিবন্ধিত গণমাধ্যমের প্রতিনিধি বা কর্মী। এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধেই প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার মত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যে ৫ টি পদে ১ জন করে প্রার্থীতার নাম এসেছে। তবে ১১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। যদি কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে সে ক্ষেত্রে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার সংখ্যা বাড়তে পারে। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন আছি। আগামী নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠ ও সচ্ছ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।