নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর পদ্মায় মেধাবি শিক্ষার্থী সাজিদ হোসেন (১৮) পদ্মায় ডুবে মারা যাওয়ার পরে লাশ নিয়ে রশি টানাটানি শুরু করেছে পরিবার। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থী সাজিদের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের অনাপত্তিপত্র চাওয়ার পরেই এ টানাহেঁচড়া শুরু হয়।
নিহত শিক্ষার্থী সাজিদের মামাতো ভাই ফিরোজ আহমেদ জানান, সাজিদ মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারকে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের অনাপত্তিপত্র নিতে বলায় প্রথেমেয় তারা নগরীর বোয়ালিয়ায় থানায় যান। কিন্তু বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাটাখালি থানায় পাঠায়। কাটাখালি থানা পুলিশ জানায়, তাদের সীমানায় নয় ঘটনা। কাজেই তাদের মতিহার থানায় যেতে বলা হয়। এরপর মতিহার থানায় যান সাজিদের স্বজনরা।
কিন্তু মতিহার থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাটি বোয়ালিয়া থানা এলাকায় ঘটেছে। কাজেই ক্লিয়ারেন্স দিলে বোয়ালিয়া থানা পুলিশই দিবে। পুলিশের এমন টানাহেঁচড়ায় চরম বেকায়দায় পড়েন সাজিদের পরিবার। তবে শেষ পর্যন্ত মতিহার থানা থেকে সাজিদের মৃত্যু নিয়ে অনাপত্তি দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় পদ্মায় গোসল করতে নেমে সাজিদ পানিতে ডুবে মারা যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, সাজিদ জেলার পুঠিয়ার পিএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
এস/এল