সংবাদ ডেস্কঃ রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র অনুমোদন-উদ্বোধন রাজশাহীবাসীকে আনন্দিত করেছিল। খুব খুশি ছিল রাজশাহীবাসী। কিন্তু উদ্বোধনের পরপরই ট্রেনের সেবা, সেবামূল্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে যাত্রীসহ সাধারণের মাঝে। বিরতিহীন হওয়ার কারণে তবুুুও খুশি ছিল যাত্রীরা। কিন্তু বিরতিহীনের নামে কয়েকটি স্টেশনে থামার ঘটনা ঘটেছে এ ট্রেনে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছায় ট্রেনটি। এতে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এটা আজ রোববারের ঘটনা। সকালে নির্ধারিত সময় সাতটায় ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছাড়ে। কিন্তু ঢাকা পৌঁছানোর পূর্বে আট/নয়টি স্টেশনে থামে ট্রেনটি। ফলে দেড় ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা পৌঁছায় বিরতিহীন বনলতা। এতে যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে অনেকে নানা কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এ নিয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘আমি সাধারণত ট্রেনেই যাতায়াত করি। গত ২৫ এপ্রিল বিরতিহীন বনলতা চালু হওয়ার পর আজই প্রথম এভেইল করলাম। কিন্তু অভিজ্ঞতা অত্যন্ত ভয়াবহ। নামেই বিরতিহীন, কাজে লোকালকেও হার মানালো। অন্তত আজ। ধারণা ছিলো বিরতিহীনকে অন্য ট্রেন ক্লিয়ারেন্স দিবে। কিন্তু উল্টোটাই দেখলাম। ৮/৯ জায়গায় থামলো ট্রেনটি অবলীলাক্রমে। ফলে অন লাইন রেকর্ডই সাক্ষ্য দিচ্ছে এয়ার পোর্ট আসতে ১ ঘন্টা ঊনত্রিশ মিনিট ডিলে। আমাদের (রাজশাহীবাসী) পেটে সম্ভবত “বনলতা” হজম হবে না।’
ফেইসবুক