নিজস্ব প্রতিনিধি : কাটাখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয় দানকারী রিয়াজুল ইসলাম ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে। এতে বাধা দিতে গেলে গুরুতর আহত হন জমির মালিক রাজু। রাজু পেশায় একজন শিক্ষক।
গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজশাহীর কাটাখালী থানাধীন বাখরাজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর কাটাখালি থানাধীন চকবেলঘরিয়া বাখরাবাজ এলাকায় ২১ একর বাগান জমি আছে স্থানীয় বাসিন্দা রাজু আহমেদের। কিন্তু এই জমি জোড়পূর্বক দখলের চেষ্টা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী পরিচয় দানকারী রিয়াজুর ও তার ভাইয়েরা। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী আইনের আশ্রয় নিলে মহামান্য আদালত (মামলা নং ১০৭/২০২০, ধারা ১৪৫ কা.বি) মামলা আরজি তদন্তপূর্বক বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্য শুনে নালিশি সম্পত্তি পারস্পরিক ও স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা / বন্টন / মাপযোগ ব্যতিত কোন পক্ষরই জবর দখল করা হইতে এবং স্থানীয় আপোষ বণ্টন না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে নিজ নিজ দখল অনুযায়ী অবস্থান করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের এই আদেশ অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার রিয়াজুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা আবারও সেই জমি দখলের চেষ্টা করলে সেখানে বাধা সৃষ্টি করেন শিক্ষক রাজু আহমেদ ও তার পিতা। বাধা সৃষ্টি করায় তাদের উপর হামলা করেন রিয়াজুল। এতে এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা।
এলাকাবাসী জানায়, রিয়াজুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা বিভিন্নভাবে এলাকার মানুষের সাথে ঝামেলায় জড়ায়। আর বাধা দিতে গেলে রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করেন। কিন্তু এবার এলাকার একদম সহজ সরল ব্যক্তি শিক্ষক রাজুর উপর জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে হামলা হয়েছে তা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী।
তারা আরও জানান, ভিডিওতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে কিভাবে রিয়াজুল এক হাতে দা নিয়ে ও তার ভাই ছানাউল্লাহ (৪৮), জিয়াউর রহমান (৪৩) শহিদুল ইসলাম (৪০), ফারুক ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মেহেদী (২২) একজন শিক্ষাগুরু শিক্ষক রাজু আহমেদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে। এক পর্যায়ে তারা রাজুকে বিবস্ত্র করে মারধর করেন। এটি আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না। হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত এ ঘটনার বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এই জমি আমাদের। এখানে পূর্বে থেকেই ঘিরা ছিল, সেটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঠিক করতে এসেছি। মারধরের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তাকে মারধর করা হয়নি। শুধু ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এ ঘটনায় আগামী ১২ তারিখ মিমাংস করে নিবেন বলেও জানান তিনি।
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।