মৎস্যসম্পদ রক্ষায় অবৈধ জাল নির্মূলে জানুয়ারী থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু।

আভা ডেস্কঃ মৎস্যসম্পদ রক্ষায় দেশের উপকূলীয় ১৭টি জেলায়  অবৈধ জাল নির্মূলে নতুন বছরের জানুয়ারিতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।  অভিযানের নেতৃত্ব দেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দী ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় এই বিশেষ অপারেশন সমন্বয়ের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের মনিটরিং টিম কাজ করবে।

দেশের যেসব উপকূলীয় জেলায় অভিযান পরিচালিত হবে তা হলো  ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী পিরোজপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও মুন্সীগঞ্জ।  দুই ধাপে এসব জেলায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নদী, উপকূল, মোহনায় বেহুন্দী জাল, চটজাল, মশারি জাল, জগতবেড় জাল, কারেন্ট জালসহ সব প্রকার অবৈধ জালের ব্যবহার যেকোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কিছু অসাধ্য ব্যক্তির কারণে দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের  যুগ্ম সচিব ড. মো. মশিউর রহমান খান ও সুবোধ চন্দ্র ঢালী, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক রশিদ আহমদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম এবং নৌবাহিনী, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তারা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হয়ে মতামত দেন।

উল্লেখ্য, দেশের উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল, টং জাল ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে ‘দ্য প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস ১৯৮৫’ এর আওতায় এ ক্ষতিকর জালের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ ধারাবাহিকতায় জাটকাসহ অন্যান্য দেশীয় মাছের রেণু ও পোনা রক্ষায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

Next Post

দেশের সব বিমানবন্দরে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা ফ্লাইট পরিচালনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

বুধ ডিসে. ২৩ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ দেশের সব বিমানবন্দর থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে  আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ‌্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্দেশনা […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links