আভা ডেস্কঃ এমন একটা ফুটবল ম্যাচের জন্যই রাতের পর রাত নির্ঘুম থাকেন ফুটবলভক্তরা। গোলের ছড়াছড়ি, পরতে পরতে উত্তেজনা ও শেষ মুহূর্তের নাটক। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যেকার সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে ছিল এর সবকিছু।
নিজ মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। পরের সপ্তাহে রিয়ালের মাঠে খেলা। সে ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জিতলে ফাইনালে পৌঁছে যাবে রিয়াল। আর গোলশূন্য ড্র হলে ফাইনালে পৌঁছাবে সিটি। স্কোর এর কম বেশি হলে করতে হবে অ্যাওয়ে গোলের জটিল হিসাব।
নিজ মাঠে পুরোপুরি আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করে সিটি। দ্বিতীয় মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে লিড নেয় স্বাগতিক দল। মিনিট দশেকের মধ্যে লিড দ্বিগুণ করে দেন গাব্রিয়েল জেসুস।
জোড়া গোলের ধাক্কা সামলে নিতে কিছুটা সময় নেয় রিয়াল। এরপর শুরু হয় তাদের আক্রমণের তোড়। ৩৩ মিনিটে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান কারিম বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধেও অব্যাহত থাকে দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। ৫৩ মিনিটে ফিল ফোডেনের গোলে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি। পরের মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র এক গোল শোধ করেন রিয়ালের পক্ষে।
বার্নার্দো সিলভার ৭৪ মিনিটের গোলে মনে হচ্ছিল ম্যাচের সব নাটকীয়তা শেষ। তবে ৮১ মিনিটে বাগড়া দেন রেফারি। সিটি ডিফেন্ডার আয়মেরিক লাপোতের নিজ বক্সে হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি বাঁশি বাজান তিনি।
স্পট থেকে চমৎকার এক শটে স্কোরলাইন ৪-৩ করে দেন বেনজেমা। এতে করে রবার্ট লেওয়ানডোভস্কিকে ছাড়িয়ে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৪ গোল করলেন তিনি। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় ওই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
ম্যাচ শেষে দুই কোচই একে অপরের প্রশংসা করেন। সিটি ম্যানেজার গার্দিওলা সংবাদ সম্মেলনে যোগ করেন, ‘কেউ বলতে পারবে না যে ম্যাচটি তারা উপভোগ করেনি। ফুটবলের জন্য দারুণ এক বিজ্ঞাপন ছিল এটি।’
রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি সিটির আক্রমণাত্মক ফুটবলের প্রশংসা করলেও নিজের দলের হার নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত ছিলেন। অভিজ্ঞ এ ইতালিয়ান ট্যাকটিশিয়ান বলেন, ‘হেরে যাওয়াটা কখনই ভালো নয়। এই ম্যাচটা বিশ্লেষণ করা সহজ ছিল। আমরা বলের সঙ্গে ও বল ছাড়া ভালো খেলেছি।’