আভা ডেস্কঃ ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মোটা অংকের মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
তদন্তের অংশ হিসেবে শিগগিরই সিআইডি আর্গানাইজড ক্রাইমের একটি দল ফেনীতে যাবে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মোল্যা নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার আগে রাফির ওপর চুন হামলা হয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই অবৈধ অর্থের ব্যবহার হয়েছে বলে সিআইডির কাছে তথ্য রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেবল মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগই নয়, রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে কিনা; তাও খতিয়ে দেখবে সিআইডি।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের এএসপি শারমীন জাহান বলেন, বিষয়টি নিয়ে অমরা বুধবার থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছি। অনুসন্ধান এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।
‘কীভাবে অনুসন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সোনাগাজী থানায় মানি লণ্ডারিংয়ের মামলা হবে। এরপর তদন্ত কাজ শুরু করা হবে।’
মানি লণ্ডারিং সংশ্লিষ্টতা নিয়ে শনিবার বেলা ১১টায় সিআইডি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে বলে এএসপি শারমীন জাহান জানান।
তিনি বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে সোনাগাজীর আলোচিত ওসি (সম্প্রতি প্রত্যাহার হওয়া) মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন খতিয়ে দেখা হবে। এই হত্যাকাণ্ডে অর্থলেনদেনের সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
যুগান্তর