কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আভা ডেস্ক : কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি ও তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সানির স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা সদর থানার সাতপাই এলাকার ন্যান্সির নিজ বাসা থেকে সানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় সানির ওপর স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও ভাইকে স্ত্রী নির্যাতনে উস্কে দেয়ার অভিযোগে ন্যান্সি ও তার স্বামীকেও আসামী দেখানো হয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খান।

ঘটনা জানাজানির পর সংবাদকর্মীরা এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সিকে।

তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট আমার ভাই তার স্ত্রী শানুকে ডিভোর্স দেয়। এরপর শানু ৬ সেপ্টেম্বরে মামলা করে। মামলায় সে আমার ভাইয়ের ওপর হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনেছে।

মামালায় শানু যা অভিযোগ করেছে তা হলো, গত ২৬ আগস্ট তাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল আমার ভাই। পরে নাকি তার কাছে পাঁচ লাখ টাকাও চেয়েছে সানি। এ মামলায় আমাকে ও আমার স্বামীকেও যুক্ত করেছে শানু।

মামলায় ন্যান্সি ও তার স্বামীকে যুক্ত করার পেছনে কী যুক্তি হতে পারে সে ব্যাখ্যায় এ কণ্ঠশিল্পী বলেব, মেয়েটা খুব চতুর। সানির কিছু হলে যেন আমরা লড়াই করতে না পারি সে জন্যেই আমাদের নামেও অভিযোগ করেছে সে।

এছাড়াও তাকে জড়ানো হলে মামলার খবরটি দ্রুত ছড়াবে এ বুদ্ধিতেও এটা করে থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন ন্যান্সি।

ভাইয়ের দাম্পত কলহে কোনো ইন্ধন দিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে ন্যান্সি জানান, আমি নেত্রকোনায় নিয়মিত থাকি না। ঢাকা ও ময়মনসিংহে থাকি। ওদের সংসারে আমি ইন্ধন দেব কীভাবে?

ন্যান্সি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি নাকি সানিকে তার বউয়ের বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেছি। না আনলে নির্যাতন করতে বলেছি। এসব অদ্ভুত আর মিথ্যা অভিযোগে পূর্ণ শানুর মামলা। শানুর মামলার এসব অভিযোগ যে একেবারেই যে ভিত্তিহীন সে প্রসঙ্গে যে যুক্তি দেখান ন্যান্সি।

তিনি বলেন, শানুদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল নয়। ছয় ভাইবোন নিয়ে কোনো মতে আধা পাকা ছাপরা ঘরে বসবাস করে শানুর বাবা । এমন অসচ্ছল পরিবার থেকে আমার ভাই পাঁচ লাখ টাকা ও সহায়সম্পত্তি কোন যুক্তিতে চাইবে? তারা তো সেটা দেওয়ার মতো অবস্থাতেই নেই।

তাছাড়া ভেবে দেখুন, আমরা যদি টাকা আদায় বা মেয়ের সম্পত্তি দিকে তাকাতাম, তাহলে তো তার সঙ্গে সানির বিয়েই দিতাম না। কোনও কোটিপতি বা বিত্তবান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক করতাম। তাই না? আইনগতভাবেই এ মামলায় আগাবেন বলে জানান এ কন্ঠশিলী। যুগান্তর

Next Post

গোবিন্দগঞ্জে জাল সার্টিফিকেট ও তৈরীর সরন্জাম সহ যুবক আটক

শনি সেপ্টে. ৮ , ২০১৮
তোফায়েল হোসেন জাকির: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জাল সার্টিফিকেট ও তৈরীর সরন্জাম সহ সেলিম সরকার (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটক সেলিম মিয়া উপজেলার মাগুরা সোনারপাড়া গ্রামের তোজাম্মমেল হকের ছেলে। শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে গোবিন্দগঞ্জের বুজরুক বোয়ালিয়া উপজেলা মোড় সংলগ্ন খান মার্কেটের […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links