বোষ পাড়া ফাঁড়ির এলাকায় মাদক মুক্ত করেই ছাড়বো, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া থানাধীন বোষপাড়া ফাঁড়ি এলাকায় এক সময় মাদকের ড্যান্ডিক্ষ্যাত নামে পরিচিত ছিলো। বোয়ালিয়া থানায় অফিসার ইনর্চাজ হিসাবে আমান উল্লাহ আমান যোগদানের পর থেকে মাদকের ড্যান্ডিক্ষ্যাত পঞ্চবট্টি, হাদির মোড়, সাধুর মোড়, রামচন্দ্রপুর, খড়বোনা, এলাকায় প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযানের ফলে আগের চেয়ে মাদক তুলনা মুলক ভাবে কমেছে বলে জানান এলাকাবাসী। বোষপাড়া ফাঁড়িতে বর্তমানে ইনর্চাজ হিসাবে কর্মরত আছেন এস আই মনিরুল ইসলাম। মনিরুল ইসলাম মনির গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে যোগদান করেন। যোগদানের পর এ পযর্ন্ত ২০ -২৫ টি মাদক মামলা দিয়েছেন, সেই সাথে উদ্ধারও আছে বেশ। জানা যায়, যোগদানের পর থেকে ওসি আমান উল্লাহর দিকনির্দেশনা উপ- পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান (৩) সহ ফাঁড়ির অন্যান্য অফিসারদের নিয়ে উক্ত মামলা ও উদ্ধার অভিযান সফল করেন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামীতে ফাঁড়ি এলাকায় মাদক মুক্ত করবেন বলে জানান মনির। পঞ্চবট্টি এলাকার শরিফ নামে একজন জানায় আগে এলাকায় প্রায় প্রতিটি ঘরেই মাদক ব্যবসা ছিল, যা এখন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন ফাঁড়ির পুলিশ ও থানা। সাধুর মোড় এলাকার ব্যবসায়ী হাসান বলেন, আগে এলাকাতে হাত বাড়ালেই মিলতো মাদক, যেমন হিরোইন, গাঁজা, ফেন্সিডিল, প্যাথেডিন। বর্তমানে ফাঁড়ি ও থানা পুলিশের তৎপরতায় তা এখন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রনে। এদিকে বিশ্বাস্থ একটি সুত্র নিশ্চিত করেন যে, গত মাসে ফাঁড়ির নতুন ইনচার্জ মনির মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের মামলা দিয়েছেন অনেক গুলো। যাদের মধ্যে ২ ই অক্টোবর শেখের চর এলাকার হাসমত আলীর ছেলে মজিবর রহমান কে ১৪ পিচ ইয়াবা সহ আটক করেন।৩ ই অক্টোবর আনারুল (২৩) কে ১০ গ্রাম হিরোইন ও কেদুর মোড়ের মোনাকে ১০০ গ্রাম হিরোইনসহ আটক করেন। ৪ ই অক্টোবর সাধুর মোড়ের তসলিম উদ্দিনের ছেলে নাহিদকে ১৭ পিচ ইয়াবা সহ আটক করেন। ৫ ই অক্টোবর আশরাফ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বুধুকে ২০ পিচ ইয়াবা সহ আটক করেন। ৬ ই অক্টোবর মুন্না পিতা শহিদুল খড়বোনা নদীর ধার থেকে ২০ পিচ ইয়াবা সহ আটক করেন। ৭ ই অক্টোবর জাহিদুল ও সুজন নামে দু জন কে ১০ পিচ প্যাথেডিন সহ আটক করেন। ধারাবাহিক ভাবে প্রতিদিনই মাদক উদ্ধার ও মাদক মামলা দিয়েছেন ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম মনির।

বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আমান উল্লাহ আমানের সাথে বললে তিনি জানান পুলিশের কাজ হচ্ছে অপরাধ দমন করা, মাদক, সন্ত্রাস, জংগিবাদ নির্মুল করা। আর তারই ধারাবাহিকতায় কাজ করছে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, এখানে বক্তব্য কিছুই নেই এটা পুলিশের নিয়মিত কাজ। আর হ্যা আমি কখনোই মাদকের সাথে আপোষ করবো না। থানা এলাকা মাদক মুক্ত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে আর এম পির মিডিয়া মুখ্যপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বর্তমান পুলিশ কমিশনার জনাব এ কে এম হাফিজ আক্তার মাদক নির্মুলে বেশ জোড়ালো ভাবে কাজ করছেন এটা তারই সফলতা। তিনি আরো জানান শুধু বোষ পাড়া বা বোয়ালিয়া থানা এলাকায়, নয় মহানগর জুড়েই চলছে মাদক বিরোধী অভিযান আর আমরা সেখানে সফলো হচ্ছি।

Next Post

কবিকুঞ্জের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন  রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র লিটন

রবি অক্টো. ২৮ , ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদক: কবিকুঞ্জের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, আবারো আমরা শুরু করছি। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আমরা শুধু পিছিয়েই গেছি। শুধু রাস্তাঘাট, বড় বড় ভবন করলে শহর এগিয়ে যায় না। শহর এগিয়ে যায় সব কিছু মিলিয়ে। শহরের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতিক হৃদস্পন্দন যদি না […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links