আভা ডেস্কঃ রাজধানীর চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলাউদ্দিনকে প্রায় ১০ বছর পর বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিবগঞ্জে উপজেলার মোকামতলা বন্দর এলাকা থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩২ বছরের আলাউদ্দিন পঞ্চগড়ের আটোয়ারি ছোটধাপের বাসিন্দা। তিনি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি।
গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস। তিনি জানান, রায় ঘোষণার পর থেকেই আলাউদ্দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় পালিয়ে বেড়াতেন। ছাত্র অবস্থায় তার সঙ্গে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সম্পর্ক হয়। পলাতক অবস্থায় তাকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে বসবাস করছিলেন। সেখানে চাকরিও করতেন তারা।
ওসি আরও জানান, আলাউদ্দিনের স্ত্রীর বাড়ি শিবগঞ্জের মোকামতলা। ঈদের ছুটিতে তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ওসি দীপক কুমার বলেন, ‘আলাউদ্দিনকে আমরা ওয়ারেন্টমূলে কারাগারে পাঠাব। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দরজি বিশ্বজিৎ দাসকে। সে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচিত হয়।
এই হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করেন আসামিরা। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট এর রায় দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে। তাতে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং চার জনকে খালাস দেয়া হয়।