আভা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ছয়টি। জাতির সঙ্গে এর চেয়ে বড় তামাশা আর কিছুই হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সেতু মন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্নে রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকান্ড ১৫ আগস্ট। এ দিনে ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন। আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন, কেক কাটার পরিবর্তে দোয়া মাহফিল করেছেন কিন্তু জন্মদিন ও পালন করছেন। আপনারা কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ভূয়া জন্মদিনের কর্মসূচিতো রয়েই গেলো?
জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের দিন ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে প্রতি বছর তামাশা করেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী বেগম জিয়ার জন্ম তারিখ ৯ আগস্ট ১৯৪৫; বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্ম দিন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের এত গুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘ দিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেয়া তথ্যে জানা গেল খালেদা জিয়ার জন্ম দিন ৮ মে ১৯৪৬।
পরাজিত ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উদার গণতন্ত্র এবং রাজনীতিতে বিশ্বাসী বলে এতো রক্তপাতের পরেও এদেশে আপনারা রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন।